রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেরালা সরকারের
নিয়ম অনুযায়ী, একটি অফিসিয়াল কমিটির সুপারিশ করা নামের প্যানেলের মধ্যে থেকে একজনকে চ্যান্সেলর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন। কেরালার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু বলেছেন যে সরকার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর হিসাবে বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদদের আনতে চায় রাজ্যপালের জায়গায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেরালার বাম-নেতৃত্বাধীন সরকার বুধবার গভর্নর আরিফ মহম্মদ খানকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি তীব্র এবং ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মন্ত্রিসভা রাজ্যপালকে পদ থেকে অপসারণের জন্য একটি অধ্যাদেশ বা বিশেষ আদেশ আনার পক্ষে ভোট দিয়েছে। খান রাজ্যের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদত্যাগ করার কথা বলার কয়েকদিন পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যপালের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সব ভাইস চ্যান্সেলর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপটি উপাচার্য নিয়োগ সহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কার্যকারিতা প্রসঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বে সর্বশেষ সংযোজন।
কেরালার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু বলেছেন যে সরকার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর হিসাবে বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদদের আনতে চায় রাজ্যপালের জায়গায়।
অক্টোবরে, সুপ্রিম কোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে তিরুবনন্তপুরমের এপিজে আবদুল কালাম টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির (কেটিইউ) উপাচার্যের পদ থেকে ডাঃ রাজশ্রী এমএসকে বরখাস্ত করে।
আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি সঞ্জয় রাউতের, পাত্র চল মামলায় জামিন সাংসদের
নিয়ম অনুযায়ী, একটি অফিসিয়াল কমিটির সুপারিশ করা নামের প্যানেলের মধ্যে থেকে একজনকে চ্যান্সেলর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন।
কিন্তু সরকার শুধু একটি নাম সুপারিশ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে নামের কোনও তালিকা না থাকায় চ্যান্সেলরের সামনে ‘অন্য কোনো বিকল্প নেই’।
গভর্নর পরে সিজা থমাসকে ভাইস চ্যান্সেলর ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ করেন।
রাজ্য সরকার হাইকোর্টকে রাজ্যপালের নির্দেশে নিয়োগ স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছিল। গতকাল আদালত সেই কাজ করতে অস্বীকার করেন।