Kerala: দিনের পর দিন কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ, বাবাকে ৩ বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত
মেয়ের সঙ্গে কুকীর্তি। কুলাঙ্গার বাবাকে কঠোর সাজা দিল কেরলের আদালত। মাল্লপুরমে এক কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও তাকে গর্ভবতী করে তোলার জন্য তার বাবাকে ৩ বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো ধারার অভিযোগ আনে পুলিস। তাতেই সে দোষী সাব্যস্ত হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেয়ের সঙ্গে কুকীর্তি। কুলাঙ্গার বাবাকে কঠোর সাজা দিল কেরলের আদালত। মাল্লপুরমে এক কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও তাকে গর্ভবতী করে তোলার জন্য তার বাবাকে ৩ বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো ধারার অভিযোগ আনে পুলিস। তাতেই সে দোষী সাব্যস্ত হয়।
আরও পড়ুন-বিকেল ৫টায় পেশ, ভারতের প্রথম বাজেটে জড়িয়ে বিতর্কের কালো অধ্যায়, জানুন ইতিহাস
সোমবার ওই রায় দিয়েছেন মাঞ্জেরি ফাস্ট ট্রাক স্পেশার কোর্টের বিচারক রাজেশ কে। পকসো আইনে তিনি তাকে ৩ বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ওই মামলায় সরকারি আইনজীবী এ সোমসুন্দরম সংবাদমাধ্য়মে জানান, আদালত আজ তার রায়ে বলেছে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে আজীবন কারাগারে কাটাতে হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিকে ৬.৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নিজের মেয়েকেই দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনায় চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। মাল্লপুরমের এসপিপি সংবাদমাধ্যমে বলেন, বাড়িতে কারও না থাকার সুযোগ নিয়ে ২০২১ সালের ২২ মার্চ প্রথমবার মেয়েকে ধর্ষণ করে দোষী সাব্যস্ত ব্য়ক্তি। করোনার সময়ে ঘরে বসেই অনলাইনে ক্লাস করছিল ১৫ বছরের ওই কিশোরী । সেই সময় তাকে ধর্ষণ করে তার বাবা।
পুলিসের দাবি, মেয়েটি তারা বাবাকে বাধা দিলে তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তার বাবা। সেই হুমকিতে সে চুপ করে যায়। ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি।
করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর স্কুলে যেতে শুরু করে ওই কিশোরী। সেইসময় তার তলপেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকে দশশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। চিকিত্সকের কাছে গেলেও কোনও কিছু ধরা পড়েনি। এরপর গতবছর জানুয়ারি মাসে তার পেটে ফের ব্যথা হতে শুরু করে। তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলার এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। তখনই তাকে পরীক্ষা করে দেখা যায় সে গর্ভবতী। এরপরই কিশোরীকে জেরা করে গোটা ঘটনা বেরিয়ে আসে। এফআইআর করা হয় ওই কিশোরীর বাবার নামে।
কিশোরী হওয়ার কারণে গর্ভপাত করানো হয় নির্যাতিতার। তার ভ্রুণের ডিএনএ টেস্টও করা হয়। তাতে দেখা যায় গোটা ঘটনার জন্য কিশোরীর বাবাই দায়ী। কিশোরীর মায়েরও বয়ান রেকর্ড করা হয়। দ্রুত মামলার শুনানি করা হয়। সোমবার তার দিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি এরকমই একটি ঘটনা ঘটে মণিপুরে। সেখানে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিল তার বাবা। শেষপর্যন্ত তা সহ্য করতে না পেরে সে বিষপান করে। সেখানেই সে জানায় গোটা ঘটনা। কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিস।