ভিনজাতে বিয়েতে খাপ পঞ্চায়েতের মাতব্বরি চলবে না, স্পষ্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট
এখানেই থেমে থাকেনি শীর্ষ আদালত। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, কেন্দ্র যদি খাপ পঞ্চায়েতকে নিষিদ্ধ করতে না-পারে তাহলে আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাপ্তবয়স্কদের বিয়েতে পঞ্চায়েতের মাতব্বরির বিরুদ্ধে তোপ দাগল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র যদি খাপ পঞ্চায়েতকে থামাতে না-পারে তাহলে আদালতই এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে বলে স্পষ্ট করেছেন বিচারপতিরা। মঙ্গলবার খাপ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানিতে ওই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে সম্মানরক্ষার নামে যে হত্যার ঘটনা ঘটে তার পেছনে এই খাপ পঞ্চায়েতে ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করে আদালত। খাপ মামলার শুনানিতে আদালতের সাফ কথা, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা বিয়ে করতে চাইলে সমাজ তাতে নাক গলাতে পারে না। ভিন জাতে বিয়ের ক্ষেত্রেও এই ধরনের হস্তক্ষেপ ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’। এখানেই থেমে থাকেনি শীর্ষ আদালত। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, কেন্দ্র যদি খাপ পঞ্চায়েতকে নিষিদ্ধ করতে না-পারে তাহলে আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে।
আরও পড়ুন-‘মমতা দিদির বাংলাকে এখন স্বীকৃতি দিচ্ছে বিশ্ব’: মিত্তল
বিয়ে হোক বা মহিলাদের রাতে বাইরে বের হওয়া, মেয়েদের জিনস পরা থেকে মোবাইল ব্যবহার করা-প্রায় সবক্ষেত্রেই নাক গলায় খাপ পঞ্চায়েত। উত্তর ভারত তো বটেই দক্ষিণের তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যেও খাপ পঞ্চায়েত সমাজে ত্রাসে সৃষ্টি করছে।
কিন্তু সমস্যা হল এই খাপ পঞ্চায়েত পেছনে বহু রাজনৈতিক দলেরই সমর্থন রয়েছে। ২০১৬ সালে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার সরাসরি খাপ-এর পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, খাপ পঞ্চায়েত সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দু-একটা ভুলের জন্য খাপ পঞ্চায়েতকে ভুল বলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গেও সালিশি আইন এনে খাপ পঞ্চায়েতের মাতব্বরিকে আইনসিদ্ধ করার বন্দোবস্ত করে ফেলেছিল বামফ্রন্ট সরকার। বিরোধীদের প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত তারা তা বাতিল করতে বাধ্য হয়।