কিংফিশারকে উড়ানসূচি জমা দেওয়ার নির্দেশ ডিজিসিএ'র

বুধবারের মধ্যে উড়ানের সময়সূচি ডিজিসিএ-র কাছে জমা দেওয়ার জন্য কিংফিশারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মীদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে ডিজিসিএ-কে সংস্থা জানিয়েছে, ডিসেম্বরের বকেয়া বেতন ফেব্রুয়ারির শেষে ও জানুয়ারির বকেয়া বেতন ২০ মার্চের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে।

Updated By: Feb 21, 2012, 12:49 PM IST

যাত্রীদের আগে না জানিয়ে বিপুল সংখ্যক উড়ান কেন বাতিল করা হল, সে বিষয়ে কৈফেয়ত দিতে অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর কাছে হাজির হলেন কিংফিশার এয়ারলাইন্স-এর সিইও সঞ্জয় আগরওয়াল ও অন্যান্য আধিকারিকরা। এদিন বৈঠক শেষে ডিজিসিএ প্রধান ই কে ভরত ভূষণ জানান, বুধবারের মধ্যে উড়ানের সময়সূচি ডিজিসিএ-র কাছে জমা দেওয়ার জন্য কিংফিশারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মীদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে ডিজিসিএ-কে সংস্থা জানিয়েছে, ডিসেম্বরের বকেয়া বেতন ফেব্রুয়ারির শেষে ও জানুয়ারির বকেয়া বেতন ২০ মার্চের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে। সোমবারই সংস্থার সিইও-কে তলব করে ডিজিসিএ। 
ঋণের ভারে জর্জরিত কিংফিশারে ইতিমধ্যেই সংস্থার বহু কর্মী পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। ডিজিসি-র সঙ্গে কিংফিশারের আধিকারিকদের বৈঠকে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থা সূত্রে খবর, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বেতন না পাওয়ার অভিযোগে সোমবারই পদত্যাগ করেছেন ৩৪ জন বিমানচালক। এছাড়া ব্যাপক সংখ্যক কর্মী পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। গত বছর অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮০ জন বিমানচালক পদত্যাগ করেছেন। এদিন ডিজিসি-এর সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে আগরওয়াল জানান, ডিজিসিএ-র যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে তাঁরা প্রস্তুত। কিংফিশারের অচলাবস্থা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রকও। তবে বিমানমন্ত্রী অজিত সিং ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার কিংফিশারকে কোনও রকম আর্থিক সাহায্য করার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বলবে না। কারণ এটি একটি বেসরকারি সংস্থা। তবে অচলাবস্থা কাটাতে সংস্থা কী পরিকল্পনা করেছে তা জানতে হবে।
অপরদিকে যাত্রীদের দুর্ভোগের জন্য ক্ষমা চেয়ে উড়ান বাতিলের জন্য আয়কর দফতরকেই দুষেছেন সংস্থার কর্ণধার বিজয় মালিয়া। তাঁর বক্তব্য, আয়কর বাকি থাকার কারণে কিংফিশারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি বাজেয়াপ্ত করে দিয়েছে আয়কর বিভাগ। তাই উড়ান চালানো যাচ্ছে না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি চালু হলেই কর্মীদের বেতন দেওয়া যাবে এবং অচলাবস্থা ধীরে ধীরে কাটানো যাবে বলেও জানান মালিয়া। যদিও মালিয়ার এই সাফাই একেবারেই মেনে নেয়নি ডিজিসিএ।
এর আগে শনিবার কলকাতায় পরিষেবাই বাতিল করেছে কিংফিশার। সংস্থার এতগুলি বিমান বাতিলের সিদ্ধান্তে চরম অসুবিধায় পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, আগে থেকে না জানিয়েই উড়ান বাতিল করছে কিংফিশার। ফলে বিমানবন্দরে এসে তাঁরা বিপদে পড়ছেন। অন্য সংস্থাগুলিতেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিসিএ এবং যাত্রীদের কিছু না জানিয়ে এই নিয়ে গত ৪ মাসে ২ বার বিপুল সংখ্যক উড়ান বাতিল করল কিংফিশার।
 

.