লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে মানি না, চুশুল বৈঠকের পরই সরব চিন
সোমবার চুশুলে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে সপ্তম বৈঠক করলেন দুদেশের সেনাকর্তারা। সাড়ে এগারো ঘণ্টার ওই বৈঠকে বাস্তবিকই তেমন কিছুই বেরিয়ে আসেনি।
নিজস্ব প্রতবেদন: সোমবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লাদাখে ৮টি সেতুর উদ্বোধন করতেই টনক নড়ল চিনের। মঙ্গলবার চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র এনিয়ে মন্তব্য করেছেন, বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে ভারত। তাই সেখানে কোনও পরিকাঠামো তৈরির বিরোধিতা করছে চিন। সীমান্তে রাস্তঘাট-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করছে ভারত। এটাই সীমান্ত উত্তেজনার মূল কারণ। কোনও দেশেরই সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরি করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন-দূরত্ব রাখার বার্তা মমতার, টিটাগড়ে মাস্ক ছাড়াই ঘেঁষাঘেষি মিছিল তৃণমূলের
উল্লেখ্য, সোমবার লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, অরুণচল প্রদেশ ও পঞ্জাবের সীমান্তবর্তি এলাকায় মোট ৪৪টি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এনিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'প্রথমেই বলে রাখি লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে মানে না চিন। অরুণাচল প্রদেশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থান চিনের। সীমান্ত এলাকায় যে কোনও পরিকাঠামো তৈরির বিরোধী আমরা। দুপক্ষেরই উচিত সীমান্ত এলাকায় এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যা দুদেশের উত্তেজনাকে বাড়িয়ে দেয়। ভারত যেভাবে সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে তাতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুদেশের মধ্যে।'
আরও পড়ুন-বাইপ্যাপে এ সামান্য উন্নতি, সৌমিত্রর অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল
এদিকে, সোমবার চুশুলে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে সপ্তম বৈঠক করলেন দুদেশের সেনাকর্তারা। সাড়ে এগারো ঘণ্টার ওই বৈঠকে বাস্তবিকই তেমন কিছুই বেরিয়ে আসেনি। ওই বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে লাদাখ সম্পর্কে চিনের অবস্থানের কোনও উল্লেখ নেই। তবে ঠিক হয়েছে, সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে দুদেশের মধ্যে সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালানো হবে। মতপার্থক্য সংঘাতের কারণ হবে না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।