Dehradun Murder: পরকীয়ার জের, শিলিগুড়ির তরুণীকে মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করল লেফটেন্যান্ট কর্নেল
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই সেনা আধিকারিক বিবাহিত এবং তার দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। জানা গিয়েছে ওই সেনা আধিকারিকের নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল রমেন্দু উপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছে যে তিনি যখন পশ্চিমবঙ্গে বদলি হয়ে আসেন সেই সময় ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেখানে ওই মহিলা একটি ডান্স বারে কাজ করতেন বলেও জানা যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেরাদুনের এক খুনের ঘটনায় হঠাৎ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ৪২ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোমবার শিলিগুড়ির এক ২৫ বছর বয়সী মহিলাকে হাতুড়ি দিয়ে মেরে হত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে হাতুরি দিয়ে ওই মহিলার মাথায় মেরে হত্যা করা হয়েছে এবং তারপরে একটি রাস্তার পাশে তার দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে ওই সেনা আধিকারিককে সিটি পুলিস গ্রেফতার করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই সেনা আধিকারিক বিবাহিত এবং তার দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। জানা গিয়েছে ওই সেনা আধিকারিকের নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল রমেন্দু উপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছে যে তিনি যখন পশ্চিমবঙ্গে বদলি হয়ে আসেন সেই সময় ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
সেখানে ওই মহিলা একটি ডান্স বারে কাজ করতেন বলেও জানা যায়। এসএসপি (দেরাদুন) দলীপ সিং কুনওয়ার বলেছেন, ‘২০২০ সালে একটি ডান্স বারে মহিলার সঙ্গে দেখা করার পরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল উপাধ্যায় তার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং শিলিগুড়িতে 'দম্পতি' হিসাবে মহিলার সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন। তিনি জুলাই মাসে দেরাদুনে বদলি হয়ে যান। কিন্তু বিবাহবহির্ভূত এই সম্পর্ক চালিয়ে যান তিনি। এরপরে তিনি ওই মহিলাকে দেরাদুনে ডেকে নেন যেখানে তাঁর স্ত্রী বিষয়টি জানতে পারেন’।
আরও পড়ুন: Bihar Girls left hostel: গভীর রাতে হস্টেল ফাঁকা, গেট খুলে পালাল ৫৫ ছাত্রী
দেরদুনে আসার পরে ওই মহিলার জন্য শহরের ক্লেমেন্ট টাউন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল। এখানেই ওই মহিলার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ চালিয়ে যান তিনি। এরপরেই ওই মহিলা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে জানা যায়। এসএসপি (দেরাদুন) দলীপ সিং কুনওয়ার আরও জানিয়েছেন যে সেনা আধিকারিকের স্ত্রীও দেখা করেন ওই মহিলার সঙ্গে এবং তাদের দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
এরপরেই রমেন্দু উপাধ্যায় ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এসএসপি জানিয়েছেন প্ল্যান করেই ওই মহিলার সঙ্গে শহরের একটি বারে শনিবার দেখা করেন তিনি। এরপরে সেখান থেকে তাঁরা একটি লং ড্রাইভে যান থানো জঙ্গল অঞ্চলে। সেখানেই ওই মহিলাকে হত্যা করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং মৃতদেহ রাস্তায় ধারে ফেলে দেন। জানা গিয়েছে ‘হত্যা’-র পরে নিজের গাড়ি পার্ক করে চলে যান রমেন্দু।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: বিভীষিকা! মাত্র ১ দিনের বৃষ্টিতেই ১৯ জনের মৃত্যু...
স্থানীয় মানুষরা ওই মহিলার মৃতদেহ খুঁজে পান। পরের দিন পুলিস তদন্ত শুরু করে এবং এলাকার সিসিটিভি-র সুত্র ধরে উপাধ্যায়ের গাড়ি খুঁজে পান।
সোমবার, পুলিস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এই সময় সে নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলেও জানা গিয়েছে। কুনওয়ার বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।‘