Omicron cases: বাড়ছে ওমিক্রন, লকডাউন হতে পারে মহারাষ্ট্রে?
ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্য়ু হয়েছে মহারাষ্ট্রেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে ক্রমশ বেড়ে চলেছে ওমিক্রন আতঙ্ক। সে কয়েকটি রাজ্যে ওমিক্রন সতর্কতা জারি করা তাদের মধ্যে মহারাষ্ট্র অন্যতম। ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্য়ু হয়েছে মহারাষ্ট্রেই। ক্রমবর্ধমান ওমিক্রন আতঙ্কে ফের লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে মহারাষ্ট্র? শুক্রবার মন্ত্রী বিজয় ওয়াডেত্তিওয়ারের (Vijay Wadettiwar) গলায় আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ছিল। তিনি বলেন, যেভাবে রাজ্যে করোনা বেড়ে চলেছে তাতে শীঘ্রই লকডাউনের পথে যেতে হতে পারে।
অবশ্য তিনি জানান, লকডাউন জারির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বেই খুবই সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। এমনকী, টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে মৃত্যুরও সম্ভাবনা খুবই কম। তবে, আক্রান্ত ব্যক্তির যদি কো-মর্ডিবিটি বা অন্য কোনও গুরুতর অসুখ থাকে, সেক্ষেত্রে কিন্তু ওমিক্রন প্রাণঘাতী হতে পারে।
বর্ষবরণের রাতে বাণিজ্যনগরীতে কড়াকড়ি ছিল চরমে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সে রাজ্যে জারি আছে রাত্রিকালীন কার্ফু। তার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউনের সময় ঘনিয়ে আসছে। তবে কবে নাগাদ লকডাউন জারি করা হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ বা স্কুল-কলেজ খোলা নিয়েও সিদ্ধান্ত সেই সময়ই নেওয়া হবে।’
ক্রমবর্ধমান COVID-19 আতঙ্কের মাঝেই মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে মোট দুই লাখ সক্রিয় সংক্রমণের রিপোর্ট হতে পারে। ডাঃ প্রদীপ বিয়াস বলেছেন, "রাজ্যে ক্রমবর্ধমান কোভিডের বর্তমান প্রবণতার উপর ভিত্তি করে আশঙ্কা ২০২২ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে আমাদের প্রায় দুই লক্ষ অ্যাক্টিভ কেস থাকবে।"
এর আগে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র সরকার বিবাহ, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিতির উপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে।