বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু, জল বাঁচাতে মেনে চলুন এই ১০ টিপস্

জলের অপচয় রোধ করার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সামাল দিতে পারে এই পরিস্থিতির। রোজকার জীবনে কিছু সাধারণ বদল, কিছু সহজ টিপস মেনে চললেই বছরে কয়েকশো লিটার পর্যন্ত জল বাঁচানো সম্ভব।

Updated By: Jul 28, 2019, 12:06 PM IST
বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু, জল বাঁচাতে মেনে চলুন এই ১০ টিপস্

নিজস্ব প্রতিবেদন : নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে জলসঙ্কট চরমে পৌঁছবে। প্রতি বছর প্রায় ৬০ কোটি ভারতবাসী জলসঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ মানুষ পানীয় জলের অভাবে মারা যান। চেন্নাইয়ের তীব্র জলসঙ্কটের কথাও কারও অজানা নয়। নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দিল্লি-সহ দেশের ২১টি বড় শহরে ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডার শেষ হয়ে যাবে। 

জলের অপচয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন। এমন অবস্থায় জলের অপচয় রোধ করার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সামাল দিতে পারে এই পরিস্থিতির। রোজকার জীবনে কিছু সাধারণ বদল, কিছু সহজ টিপস মেনে চললেই বছরে কয়েকশো লিটার পর্যন্ত জল বাঁচানো সম্ভব। 

জেনে নিন জল বাঁচানোর কিছু সহজ পন্থা:

১) শাওয়ারে স্নান করলে অহেতুক প্রচুর পরিমাণে জলের অপচয় হয়। বালতি ও মগের সাহায্যে স্নান করুন। পরিবারের সদস্য়দের মাথাপিছু এক বালতি জল বরাদ্দ রাখুন। 

২) ঘরের মেঝে মোছার আগে ভাল করে ঝাঁট দিয়ে নিন। এতে মোছার সময়ে কম জল লাগবে। 

৩) এসি থেকে যে বের হওয়া জলের পরিমাণ কিন্তু নেহাত কম নয়। এসির যে অংশ দিয়ে জল বের হয়, সেখানে পাইপ লাগান। পাইপের অপর মুখে একটি বালতি বা বড় বোতল রাখুন। গাছে দেওয়ার জন্য সেই জলই ব্যবহার করুন। 

৪) গাছে জল দিন বালতি ও মগে করে। পাইপে করে জল দিলে অহেতুক অতিরিক্ত জল নষ্ট হয়।

৫) আনাজ ধোওয়ার সময়ে বড় গামলা বা বালতি ব্যবহার করুন। বাড়ির উঠোন ধোওয়া বা বাগানের গাছে সেই জল ব্যবহার করুন। মাছ ধোয়ার জলও গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। গাছের জন্য খুবই উপকারি এই জল। ফল পাবেন কয়েক দিনেই।

৬) বৃষ্টির সময়ে ছাদের রেন পাইপের তলায় ড্রাম বসিয়ে রাখুন। পশ্চিমী দেশে এভাবে অনেকেই জল সংরক্ষণ করেন। এই জলই পরে গাছে জল দিতে বা বারান্দা, উঠোন ধোওয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ছাদ পরিস্কার থাকা প্রয়োজন। 

৭) সম্প্রতি রাজস্থানের বিধানসভায় জল বাঁচাতে এক নয়া নিয়ম চালু হয়েছে। এই নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভায় জল চাইলে আধ গ্লাস জলই প্রথমে দেওয়া হবে। সেটা শেষ করলে তবেই আরও আধ গ্লাস জল দেওয়া হবে। আপনার বাড়িতেও মেনে চলতে পারেন এই রীতি। এতে পানীয় জলের অপচয় কমবে।

৮) যতটা সম্ভব হাতে কাপড় কাচুন। মেশিনে কাচলে জল বেশি লাগে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। 

৯) দাড়ি কাটা, কাপড় কাচা বা বাসন ধোওয়ার মতো কাজের সময়ে অনেকে কল খুলে রেখে দেন। সেই বিষয়ে সচেতন হোন। প্রয়োজনের বাইরে কল  খোলা রাখবেন না। প্রতিটি কলের মুখ যাতে টাইট থাকে, সে দিকেও নজর দিন। 

১০) বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের জল উপচে পাইপ দিয়ে জল পড়তে থাকে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জল নষ্ট হয়। এর জন্য বিশেষ অ্যালার্ম পাওয়া যায়। ট্যাঙ্ক ভর্তি হয়ে গেলেই বাজবে সেই অ্যালার্ম। 

.