ম্যানিক মানডে, কেন পড়ল বাজার?

Updated By: Aug 24, 2015, 07:48 PM IST
ম্যানিক মানডে, কেন পড়ল বাজার?

দালাল স্ট্রিটে কালো সোমবার। চিন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন আর্থিক বাজারে বড়সড় পতনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় শেয়ার বাজার। একদিনে ষোলোশো চব্বিশ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। তলিয়ে গেল টাকাও।

বুল উধাও, দাপিয়ে বেড়াল বেয়ার। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারির পর মুম্বই শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বড় পতন। সোমবার বাজার খোলার সময় সেনসেক্স ছিল ছাব্বিশ হাজার সাতশো তিরিশ । বাজার বন্ধের সময় সূচক নেমে দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৭৪১ পয়েন্টে। সারাদিনে সূচক খোয়াল ১ হাজার ৬২৪ পয়েন্ট। পতনের হার ৫.৯ শতাংশ। একদিনে মুছে গেছে লগ্নিকারীদের সাত লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। ৪৯০ পয়েন্ট পড়েছে নিফটি।

দালাল স্ট্রিটে প্যানিক সেলের জেরেই এই অবস্থা। কেন এই আতঙ্ক? বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবার সারাদিনে ৮.৫ শতাংশ পড়েছে সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স। রফতানি চাঙ্গা করতে চিন তার মুদ্রা ইউয়ানের আরও অবমূল্যায়ন করতে পারে এই আশঙ্কায় ইউরোপ-আমেরিকার শেয়ার বাজার গোত্তা খায়। এ সবের জেরেই ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকেও লগ্নি তুলে নিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।

গাড়ি, ব্যাঙ্কিং, পরিকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, আবাসন, জ্বালানি - প্রতিটি ক্ষেত্রেই সোমবার হু-হু করে পড়েছে শেয়ারের দাম। লাগাতার শেয়ার বিক্রির জেরে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ দিন পড়ে গেছে টাকার দামও। দু-হাজার তেরোর সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম একদিনে এতটা পড়ল টাকার দাম। সোমবার বাজার বন্ধের সময় এক ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ছেষট্টি টাকা চৌষট্টি পয়সা।

বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়াও শেয়ার বাজার পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। শেয়ার বাজারে পতন কর্মসংস্থানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, টাকার দাম কমায় চাঙ্গা হতে পারে রফতানি। তেলের দাম কমে যাওয়ায় চলতি খাতে ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতির ওপর লাগাম টানা সহজ হবে বলেও মনে করছেন অনেকে।

 

.