আবার যখের ধন! ধোনির রাজ্যে হদিশ পাওয়া গেল মোঘল আমলের লুকনো সম্পত্তির

মাটির মধ্যেই পড়ে ছিল ঘড়াটি। এর পর বৃষ্টির জলে ঘড়াটি ধুয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিঞাঁ নামের একজন চাষের কাজ করতে গেলে ঘড়াটি দেখতে পায়।

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Jul 13, 2020, 02:18 PM IST
আবার যখের ধন! ধোনির রাজ্যে হদিশ পাওয়া গেল মোঘল আমলের লুকনো সম্পত্তির

নিজস্ব প্রতিবেদন- ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে খোঁজ পাওয়া গেল যখের ধনের। পালামৌ জেলার নবডিহা গ্রামের কাছে মোঘল আমলের লুকনো সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এবড়ো খেবড়ো জমি চাষের উপযোগী করার জন্য এলাকায় কাজ চলছিল। সেই সময় জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে একটি ধাতুর ঘড়া। সেই ঘড়াটির গায়ে বিভিন্ন নকশা আঁকা ছিল। ওই ঘড়ায় ২০০টি রূপোর মোহর ছিল। যদিও সব কটি উদ্ধার হয়নি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতিটি মোহর মোঘল আমলের। ঘড়া ও রূপোর মোহর উদ্ধারের পর থেকে ওই এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ থেকে প্রশাসন আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় খননের কাজ শুরু করেছে। যদি আরও কিছু লুকনো সম্পদ উদ্ধার করা যায়, সেই আশায়।

জানা গিয়েছে, প্রথমে কিছুই টের পায়নি কেউ। জেসিবি দিয়ে খনন কাজ হওয়ার পর লোকজন বাড়ি ফিরে যায়। মাটির মধ্যেই পড়ে ছিল ঘড়াটি। এর পর বৃষ্টির জলে ঘড়াটি ধুয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিঞাঁ নামের একজন চাষের কাজ করতে গেলে ঘড়াটি দেখতে পায়। সেলিম মিঞাঁ সেটি বাড়িতে নিয়ে আসে। এর পর পরিবারের অনেকে মিলে মাটিতে মোহর ফেলে গুনতে শুরু করে। এরই মধ্যে ভাইদের মধ্যে রূপোর মোহরের ভাগাভাগি হয়ে যায়। কে বেশি মোহর পাবে তা নিয়ে ঝামেলাও শুরু হয়। সেই ঝামেলা গড়ায় থানা পর্যন্ত। না হলে হয়তো কয়েনের খবর কেউ জানতেই পারত না। সেলিম মিঞাঁ এর পর ১০৭টি মোহর পুলিসের কাছে জমা দেয়।

আরও পড়ুন-  নোটবন্দির চার বছর পর পুরনো ৫০০, ১০০০-এর নোট নিয়ে ব্যাঙ্কে হাজির এক ব্যক্তি, তার পর...

পুলিস সন্দেহ করছে ওই ঘড়ায় ২০০টিরও বেশি মোহর ছিল। কিন্তু বাকি মোহরের হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। সেলিম মিঞাঁর ভাইয়েরা কিছু কয়েন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিক্রি করেছে। সেগুলি উদ্ধারে নেমেছে পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই একটি-দুটি করে রূপোর মোহর পাওয়া যায়। 

.