বসন্তের শেষ বিকেলে তৃণমূল থেকে ঝরে পড়ল মুকুল
প্রহর গোনা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। বসন্তের শেষ বিকেলে মুকুল প্রেম কাটিয়ে পাকাপাকি বিচ্ছেদ ঘোষণা করল তৃণমূল। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকেল ৪ টে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল মুকুলের বিদায়ের।
ওয়েব ডেস্ক:প্রহর গোনা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। বসন্তের শেষ বিকেলে মুকুল প্রেম কাটিয়ে পাকাপাকি বিচ্ছেদ ঘোষণা করল তৃণমূল। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকেল ৪ টে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল মুকুলের বিদায়ের।
মুকুল আছেন, না, নেই? জল্পনা চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। অবশেষে প্রেমের অন্ত হল। ফেব্রুয়ারির শেষ দিনেই নেই মুকুল।
জল্পনা চলছিলো অনেক আগে থেকেই। সারদা কেলেঙ্কারিতে নেত্রীর উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক তথা অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মুকুল রায়।
রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়, মুকুল কি তাহলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? মুকুলের ঘন ঘন দিল্লি পাড়ি এই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করেছে। কখনও নীতিন গড়করি কখনও অরুণ জেটলি। বিজেপি নেতাদের সাথে বদ্ধ ঘরে শীতলতা থাকলেও উত্তাপ বেড়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
নেত্রী আর সেনাপতির এহন বিচ্ছেদ স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। মমতা-মুকুল সুপার কম্বোর কাঁধে ভর দিয়ে এই তৃণমূলই '১' থেকে '১৯' হয়েছিল। দলের জন্মলগ্ন থেকেই মুকুল ছিলেন মমতার ছায়াসঙ্গী। দলের খারাপ সময়ে সব সময় তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে থেকেছেন। এক সারদাতেই সব হিসেব উল্টে পাল্টে গেল।
বিরোধ প্রকট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরত্বটাও স্পষ্ট করেছিলেন দলনেত্রী। দলে মুকুলের সাথে লেজ জুড়ে দিয়েছিলেন নেত্রী। সুব্রত বক্সিকে সহ সাধারণ সম্পাদক করেন নেত্রী। সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন সুব্রত বক্সি। "দলে একটাই সাধারণ সম্পাদক', সাংবাদিকদের কাছে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যই মুকুলের বিদায় ঘন্টার বাদ্দি বাজিয়ে দেয়।
সাংসদে নিজের পদ খুইয়েছেন আগেই। তাঁর জায়গায় ডেরেক ও' ব্রায়েনকে বসিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ পাকাপাকি ভাবে নাম না করে তাকে বিদায় জানাল তাঁর দল তৃণমূল।