নাশকতার ছকে ছিল নাসিক পুলিস অ্যাকাডেমি

জেরায় আবু হামজা জানিয়েছে, নাসিকের পুলিস অ্যাকাডেমিতেও হামলার ছক কষেছিল জঙ্গীরা। ২০০৯`এর মার্চে লাহোরের পুলিস অ্যাকাডেমিতে সফল নাশকতার পরেই নাসিকে হামলার ছক কষে জঙ্গীরা। অন্যদিকে, ধৃত লস্কর জঙ্গী ও ২৬/১১ নাশকতার অন্যতম অভিযুক্ত আবু হামজার যে পাসপোর্ট মিলেছে তাতে স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে পাকিস্তানের। এর ফলে ভারত ২৬/১১ হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে যে দাবি তুলছিল তা আরও জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Updated By: Jul 3, 2012, 06:52 PM IST

ধৃত লস্কর জঙ্গী ও ২৬/১১ নাশকতার অন্যতম অভিযুক্ত আবু হামজার যে পাসপোর্ট মিলেছে তাতে স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে পাকিস্তানের। এর ফলে ভারত ২৬/১১ হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে যে দাবি তুলছিল তা আরও জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে। পাসপোর্টে তার বর্তমান এবং স্থায়ী দুই ঠিকানাই পাকিস্তানের লাহোরের কাছে মুরিদকের উল্লেখ আছে। ফলে এই ইস্যুতে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়িয়েছে দিল্লিও। যদিও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন মন্ত্রী রেহমান মালিক আবু হামজার পাসপোর্টকে নকল বলে দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, জেরায় আবু হামজা জানিয়েছে, নাসিকের পুলিস অ্যাকাডেমিতেও হামলার ছক কষেছিল জঙ্গীরা। ২০০৯`এর মার্চে লাহোরের পুলিস অ্যাকাডেমিতে সফল নাশকতার পরেই নাসিকে হামলার ছক কষে জঙ্গীরা। সূত্রে খবর, নাসিকে জার্মান বেকারি বিস্ফোরণের পর সেই ছক সাময়িক ভাবে থমকে যায়। তবে আবু হামজার স্বীকারোক্তি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে সৌদি থেকে ফেরার সময় পর্যন্ত নাসিকে নাশকতার পরিকল্পনা অব্যাহত ছিল। জুনের ২১ তারিখ সৌদি থেকে ফেরার পথেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
আবু হামজা ওরফে আবু জুন্দাল ভারতের লস্কর-এ-তৈবার বড় মাপের নেতা। জন্মসূত্রে মহারাষ্ট্রের বীডের বাসিন্দা হামজা জঙ্গী প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তানে পারি দেয়। ২৬/১১`র ঘটনায় জরিত জঙ্গীদের হিন্দির প্রশিক্ষণ দেয় হামজা। গ্রেফতার হওয়ার পর তার স্বীকারোক্তিতে বহু বিস্ফোরক তথ্য পায় দিল্লি পুলিস ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। জবানবন্দিতে হামজা বলে ২৬/১১`র নাশকতার কন্ট্রোল রুম ছিল করাচিতে। হাফিজ সইদ ছাড়াও আইএসআই-এর কর্তারাও যে উপস্থিত ছিলেন কন্ট্রোল রুমে সে কথাও স্বীকার করে হামজা। অপারেশনাল কম্যান্ডার জাকিউর রহমান লখভির সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই আবু হামজার কণ্ঠস্বরের নমুনা ২৬/১১ নাশকতার সময় পাওয়া কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মেলানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পরেরদিন অর্থাৎ ২২ জুনেই তার কণ্ঠস্বরের নমুনা পাঠানো সংগ্রহ করা হয়।
জুলাইয়ের ৫ তারিখ পর্যন্ত দিল্লি পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিজেদের হেফাজতে রাখবে। দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে মুম্বই পুলিস তাদের হেফাজতে নেবে।
ভারতের দাবি পাকিস্তানের মদত ছিল ২৬/১১`র নাশকতায়। সেই সময় হাফিজ সইদ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী করাচির কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাক প্রশাসন দাবি করেছে ২৬/১১`র নাশকতায় জড়িত ছিল ৪০ ভারতীয়।

.