EY employee death | Nirmala Sitharaman : 'কাজের চাপ সামলাতে ঈশ্বরের আরাধনা করুন', EY পুনে কর্মীর মৃত্যুতে 'দাওয়াই' নির্মলার!
Nirmala Sitharaman calls for stress management lessons: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বলব পাঠ্যক্রমে দেবত্ব ও আধ্যাত্মিকতা নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আত্মশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অত্যধিক কাজের চাপে জয়েনিংয়ের ৪ মাসেই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ২৬ বছরের মেয়ে। আর তারপর বসকে লেখা চিঠিতে ভয়ংকর কথা শেয়ার করেছেন মা। সেই চিঠি সামনে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আঙুল উঠেছে 'কর্পোরেট কালচার'-এর দিকে। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ পাঠ্যক্রমের মধ্যেই 'স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট'-কে অন্তর্ভুক্তি করার কথা বললেন।
তিনি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের পাঠ দেওয়ার কথা বলেন। যা শিক্ষার্থীদের মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। পরবর্তীতে যা মানসিক চাপ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। সীতারামণ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সুশিক্ষা প্রদান ও ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় শেখানো উচিত। যার প্রাথমিক পাঠ পরিবার থেকেই শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের শেখানো উচিত যে আপনি যা-ই পড়াশোনা করুন বা আপনি যে কাজ-ই করুন না কেন, সেই চাপ সামলানোর জন্য আপনার ভিতরে মনের জোর বাড়াতে হবে।
এই পর্যন্ত তবু ঠিক ছিল, কিন্তু এরপর সীতারামণ যোগ করেন, এই মানসিক শক্তি কেবলমাত্র দেবত্বের আরাধনার মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে। তিনি বলেন,"ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন। আমাদের ঈশ্বরের কৃপার উপর ভরসা রাখতে হবে। আপনার আরাধনার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের সন্ধান করুন। এটা আপনাকে শৃঙ্খলা শেখাবে। যা আপনার আত্মশক্তিকে বাড়িয়ে তুলবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বলব পাঠ্যক্রমে দেবত্ব ও আধ্যাত্মিকতা নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আত্মশক্তি বৃদ্ধি পাবে। যা তাদের নিজেদের ও দেশের উন্নতিতে সহায়ক হবে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।"
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। আবার অনেকের মতে নির্মলা সীতারামণ হয়তো 'দেবত্বের আরাধনা' বলতে 'ধ্যান যোগ'কে বোঝাতে চেয়েছেন। এটা ঠিক যে ধ্যানের মাধ্যমে মনঃসংযোগের ক্ষমতা বাড়ে। মানসিক চাপ কেটে মনে প্রশান্তি আসে। তবে আন্না সেবাস্তিয়ান পেরাইলের মা অনিতা অগাস্টিন অভিযোগ করেছেন, মানবাধিকার লংঘন করে 'ওভার ওয়ার্ককে গ্লোরিফাই' করেছিলেন তাঁর মেয়ের ম্যানেজার। যার ফলে তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য ভেঙে যায়। মেয়ে উত্কণ্ঠায় ভুগতে শুরু করে। ঘুম হত না রাতে।
প্রায়শই মিটিং রিশিডিউল করে রাতের দিকে রাখতেন। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে মেয়ের অনেক রাত হয়ে যেত। তারপরেও রাতে ফের রিপোর্ট চেয়ে ম্যানেজারের মেইল আসত। মেসেজ আসত। এমনকি কখনও কখনও রাতে নতুন কাজ দিয়ে সকালের মধ্যেই সেই কাজ শেষ করার ডেডলাইনও দেওয়া হত। বিশ্রাম নেওয়ার কোনও সময়ই দেওয়া হত না। যে প্রেক্ষাপটে নির্মলার 'দাওয়াই' পক্ষান্তরে সেই 'ওয়ার্ক স্ট্রেস'-কেই সমর্থন করছে বলে মত সমালোকচদের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)