একজন পরিযায়ী শ্রমিকও যেন হেঁটে বাড়ি না ফেরেন, প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মূলত, দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম থেকে যদি কোনও পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে উত্তরপ্রদেশে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন, তাঁদের রাস্তাতেই আটকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একজনও পরিযায়ী শ্রমিক যেন হেঁটে না বাড়ি ফেরে। রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মূলত, দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম থেকে যদি কোনও পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে উত্তরপ্রদেশে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন, তাঁদের রাস্তাতেই আটকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক চলকালীন প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই নির্দেশ দেন যোগী আদিত্যনাথ।
'আমরা মর্মাহত, সব রকম সাহায্য করা হবে', ট্রেনের ধাক্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুতে টুইট প্রধানমন্ত্রীর
প্রশাসনিকভাবে যেন প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিককে ভিন রাজ্য যে ফিরিয়ে আনা হয়, সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যোগী আদিত্যনাথের এই নির্দেশের পরই লখনউ থেকে ৫১৪ কিলোমিটার দূরে বুলন্দশহরের কাছে ১৭২ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। তাঁরা প্রত্যেকেই দিল্লি ও নয়ডা থেকে হেঁটে ফিরছিলেন।
মূলত উত্তরপ্রদেশের প্রচুর শ্রমিক কাজের সূত্রে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থানে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকশো জন শ্রমিক হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। ফিরোজাবাদের কাছে তাঁদেরও কয়েকজনকে আটকে দিয়েছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতেই একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে ঔরঙ্গাবাদে। ঔরঙ্গাবাদের অদূরে কর্মাদ এলাকায় এক মালগাড়ির ধাক্কায় ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
ঔরঙ্গাবাদ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকরা জানলায় একটি স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করতেন। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফিরতেই একসঙ্গে রেললাইন ধরে ৬৫ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। ভোররাতে ঔরঙ্গাবাদের কর্মাদ সংলগ্ন এলাকায় লাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা । ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
১৪ জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। বাকি পাঁচজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করে ঔরঙ্গাবাদ পুলিস।