দ্বিতীয় কোভিডেও চলবে কৃষক আন্দোলন
কোনও ভাবেই উদ্দীপ্ত এই আন্দোলনের গতি থামাতে চান না আন্দোলনকারী কৃষকেরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: থামছে না প্রতিবাদ। বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা চালিয়েই যাবেন তাঁদের আন্দোলন।
কোভিডের (covid) প্রথম ধাক্কা সামলেও দিল্লি সীমানায় (Delhi borders) তিন নতুন কৃষি আইনের (three farm laws) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন (farmer protest ) চালিয়ে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। যদিও আন্দোলনের ২০০ দিন পার করে দেওয়ার পরেও মোদী সরকারকে আইন প্রত্যাহারের প্রশ্নে তেমন নমনীয় মনে হয়নি আন্দোলনরত কৃষকদের । ইতিমধ্যেই হাজির কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যা, প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছে কৃষকদের।
আরও পড়ুন: Covid 19: দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে প্রথম ভারত, একদিনে মৃত্যুতেও রেকর্ড
কিন্তু আন্দোলন থামানো তো দূরের কথা, ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন সূত্রে জানানো হচ্ছে, চলতি সপ্তাহে বরং নতুন উদ্যমে শুরু করা হবে আন্দোলন। যাঁরা কিছু দিনের জন্য গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন তাঁরাও আবার সীমানায় এসে জড়ো হবেন। সিঙ্ঘু সীমানায় ৪ কিলোমিটারের একটি নতুন বসতিই তৈরি হয়ে গিয়েছে এঁদের নিয়ে। শয়ে শয়ে তাঁবু এবং অস্থায়ী থাকার জায়গা। ওই প্রবল ভিড়ের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা মুখোশের বিধিনিষেধের কেউ পরোয়া করছেন না এ কথা ঠিকই। বিশেষজ্ঞদের মতে, কুম্ভমেলা বা জনসভার মতোই এখান থেকেও করোনার সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ছড়াচ্ছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, কোভিডের নতুন উৎস-কেন্দ্র এই আন্দোলনস্থল।
কৃষক আন্দোলনের মুখপাত্রের তরফে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, আন্দোলনরত কৃষক এবং তাঁদের পরিবারের করোনা আক্রান্ত হওয়া বা তা ছড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল কিন্তু, এই সময়ে আন্দোলন গুটিয়ে নেওয়া অসম্ভব। কেন্দ্র যত ক্ষণ না কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করেই (tackling the second wave of COVID-19) চলবে।
তাঁরা জানান, এই ২০০ দিনে যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তা নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। কৃষক নেতারা শাহিনবাগ আন্দোলনের উদাহরণ দিয়ে বলছেন, কোভিড-এর কারণে ওই সিএএ-বিরোধী আন্দোলন গুটিয়ে নেওয়া হয়। এর পরই তা দুর্বল হয়ে যায়। তাঁরা তাই এই আন্দেলন বন্ধ করবেন না, তবে দেখবেন যাতে আন্দোলনকারীরা ধীরে ধীরে টিকা (vaccinated) নিয়ে নেন।
আরও পড়ুন: Covid 19: একা ডবল মিউট্যান্টে রক্ষা নেই, হাজির ট্রিপল মিউট্যান্ট, মিলল বাংলাতেও