জালিয়াতি রুখতে নজরে থাকুক ব্যাঙ্ক কর্মীরাও, পরামর্শ সিভিসি-র
ওয়েব ডেস্ক: শুধু ‘কেওয়াইসি’-তে আটকে থাকলেই চলবে না, জালিয়াতি রুখতে ‘কেওয়াইই’-এর উপরও নজর রাখতে হবে জরুরি, ব্যাঙ্কগুলিকে পরামর্শ কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের(সিভিসি)। সোমবার কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ প্রতিমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিংহ একটি ভিজিল্যান্স ম্যানুয়াল প্রকাশ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, বহু জালিয়াতির ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের ভেতরের লোকই জড়িত থাকো। তাই নিজেদের কর্মীদের ওপরও নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এখানেই না থেমে, কীভাবে কর্মীদের ওপর নজর রাখা সম্ভব, তারও উপায় বতলে দিয়েছে 'সিভিসি'। এই বিষয়টিকেই যথাক্রমে সিভিসি – নো ইওর এমপ্লয়ি বা কেওয়াইই’ এবং নো ইওর পার্টনার (কেওয়াইপি) হিসেবে উল্লেখ করেছে।
কেন্দ্রীয় নজরদারি সংস্থার মতে,
পূর্ব-পরিচয় সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের বিরতিতে বদলি করতে হবে কর্মীদের।
ভিজিল্যান্স অ্যাসেসমেন্ট, ইন্টার্নাল অডিটের মাধ্যমে কর্মীদের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
আধুনিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে বিভিন্ন ধরনের পার্টনার, এজেন্ট, ভেন্ডর। এছাড়া, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক আউটসোর্সিংও করায়। ফলে, বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রে বাইরের লোকের ওপর ভরসা রাখতে হয় ব্যাঙ্কগুলিকে। সিভিসি জানিয়েছে, যদি জালিয়াতি রুখতে হয়, তাহলে ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের পার্টনার বা ব্যবসায়িক সহযোগীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রাখতে হবে।