ইলাহাবাদ হাইকোর্টে অযোধ্যা মামলা রায়ের প্রসঙ্গ তুলে সংযত থাকার বার্তা প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
২০১০ সালে অযোধ্যা মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দেয়, তাতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে রাম জন্মভূমি ন্যাস, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রামলালার মধ্যে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ। যে কোনও সময়েই রায় বেরতে পারে। এই আবহে আজ ‘মন কি বাত অনুষ্ঠানে’ ইলাহাবাদ আদালতে রায় তুলে সংযত থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে অযোধ্যা মামলা রায় বেরনোর আগে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে দেখা যায় অনেককে। হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু রায় যখন বেরলো, এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা যায়নি। আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে, সরকার, সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ সংযত মন্তব্য করে। ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়নি। সম্প্রীতি বজায় রাখতে সক্রিয় এবং সতর্ক থেকেছেন সাধারণ মানুষও। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য তাত্পর্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- মদ খেতে বাধা, গুলি চালিয়ে মেয়েকে মেরে ফেলল বাবা
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অযোধ্যা মামলায় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দেয়, তাতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে রাম জন্মভূমি ন্যাস, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রামলালার মধ্যে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই রায়ের বিরোধিতা করে সব পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মধ্যস্থতাকারীদের হাতে রফাসূত্র বের করার ভার দেয়। তা ব্যর্থ হলে সুপ্রিম কোর্টে প্রতিদিন শুনানি শুরু হয়।
লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে সরকার। অযোধ্যা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে টানা ৪০ দিন চলার পর সম্প্রতি শেষ হয়। রায় ঘোষণার অপেক্ষায় প্রমাদ গুনছে দেশ। মনে করা হচ্ছে আগামী ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের কার্যকাল শেষ হওয়ার আগেই অযোধ্যা মামলার রায় বেরতে পারে। অর্থাত্ পরবর্তী ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আগেই এই রায় বেরনোর সম্ভবনা রয়েছে। রায় যাই হোক, শান্তি বজায় রাখতে আগাম সংযত থাকার বার্তা দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।