এক দেশ এক নির্বাচনের লক্ষ্যে 'সিরিয়াস' প্রধানমন্ত্রী, বৈঠকে দিলেন প্রস্তাব
, ৪০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১টি দলের সভাপতিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, বলে দাবি রাজনাথের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বুধবারের সর্বদল বৈঠকে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রস্তাবেই গঠিত হতে চলেছে নতুন কমিটি।
সর্বদলের পর সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন,''এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের সুপারিশ পেশ করবে''। এদিন বৈঠকে গরহাজির ছিল কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো দলগুলি। রাজনাথ সিং জানান, ৪০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১টি দলের সভাপতিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। ৩টি দল তাদের মতামত লিখিত আকারে পাঠিয়েছে।
Defence Minister Rajnath Singh after conclusion of the meeting of Presidents of all parties called by PM Modi: We had invited 40 political parties, out of which Presidents of 21 parties participated and 3 other parties sent their opinion on the subjects in writing. pic.twitter.com/FgsjkEQotg
— ANI (@ANI) June 19, 2019
বৈঠকে বেশিরভাগ দলই এক দেশ নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে বলে দাবি করেন রাজনাথ। তবে ভিন্নমত পোষণ করেছে সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, এটা গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। সংসদীয় গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করছে। যদিও রাজনাথের দাবি, এক দেশ এক নির্বাচনের ভাবনার বিরোধিতা করেনি সিপিএম। রূপায়ন নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে।
ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। তাঁর মতে, ঘনঘন নির্বাচনের জেরে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে উন্নয়নের কাজ। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর চেতনাকে আরও জোরদার করবে।
এদিন এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে ডেকেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা, জেডিইউ সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, অকালি নেতা সুখবীর সিং বাদল, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডিরা।
এক দেশ এক নির্বাচন বাস্তবায়ন হলে বিধানসভা, লোকসভা ও স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েট ভোটগ্রহণ একসঙ্গে হবে। সেক্ষেত্রে সময় ও অর্থের অপচয় রোধ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঘনঘন নির্বাচনের জেরে উন্নয়নের কাজ থমকে যায়। সেটাও আর হবে না। তবে সংবিধান সংশোধনের জন্য রাজ্যসভা ও লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ করা হবে বিল।
আরও পড়ুন- সুখবর, মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে আরও সস্তা ইলেকট্রনিক গাড়ি