কর্নাটকের উপনির্বাচন: লোকসভার আগে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ জোটের, মাটি পেতে মরিয়া বিজেপি
কর্নাটকের ৩টি লোকসভা এবং ২ টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য কর্নাটকের এই উপনির্বাচন শাসক-বিরোধীর কাছে ‘সেমি ফাইনাল’ বলে মনে করা হচ্ছে। এই ৫টি আসনের মধ্যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার কেন্দ্রও রয়েছে। তাই, ক্ষমতা দখলের সঙ্গে সঙ্গে সম্মানের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে শনিবারের উপনির্বাচন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্নাটকের ৩টি লোকসভা এবং ২ টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য কর্নাটকের এই উপনির্বাচন শাসক-বিরোধীর কাছে ‘সেমি ফাইনাল’ বলে মনে করা হচ্ছে। এই ৫টি আসনের মধ্যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার কেন্দ্রও রয়েছে। তাই, ক্ষমতা দখলের সঙ্গে সঙ্গে সম্মানের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে শনিবারের উপনির্বাচন।
আরও পড়ুন- মাথায় ছিল ১৪ জনকে ‘খুনের অভিযোগ’, গুলি করা মারা হল ‘মানুষখেকো’ অবনিকে
কংগ্রেস-জনতা দল (সেকুলার)(জেডিএস) হাতে-হাত রেখে যে ভাবে সরকার চালাচ্ছে, এই উপনির্বাচনেও আসন সমঝোতায় লড়ছে তারা। জেডিএস লড়ছে লোকসভার দুটি কেন্দ্র মন্দা, শিবমঙ্গা এবং বিধানসভার রামনগর কেন্দ্র। বল্লারই লোকসভা ও জমখান্ডি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়ছে কংগ্রেস। এই নির্বাচনে তাদের জোট-সাফাল্যের উপরই অনেকটা নির্ভর করছে জাতীয় রাজনীতিতে জোটের পাটিগণিত। তাই কর্নাটকের নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করেছে অকংগ্রেসি দলেরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কর্নাটকে জোট সরকার তৈরি হয় বিধানসভা নির্বাচনের পরে। এর পর বেশ কিছুক্ষেত্রে কংগ্রেস-জেডিএস-র মনোমালিন্য প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে বলতে শোনা যায়, জেনে শুনে বিষপান করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ বারে নির্বাচনের আগেই আসন ভাগাভাগি হয়েছে জোটের। তাই এই উপনির্বাচনে জোটের ভাগ্য নির্ধারণ করবে মানুষই। এবং বিজেপি কতটা গ্রহণযোগ্য তা-ও প্রমাণ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- গুয়াহাটি থেকে শিলচর; বনধের প্রভাব সর্বাত্মক, পুড়ল উলফা নেতার কুশপুতুল
উল্লেখ্য, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর স্ত্রী অনিতা কুমারস্বামী দাঁড়িয়েছেন রামনগর কেন্দ্রে। যেখান থেকে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন এইচডি কুমারস্বামী। পাশাপাশি চন্নপত্ন কেন্দ্রেও লড়ে জিতে আসায় রামনগর আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রশেখর দু’দিন আগেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় এই আসনে কার্যত জেতার পথে জেডিএস। তবে, শিবমঙ্গা আসনটি জেডিএস এবং বিজেপির কাছে সম্মানের লড়াই হবে। এই আসনে ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে লড়ছেন। বিধানসভা নির্বাচনে শিকারিপুর থেকে লড়ার জন্য লোকসভা আসটি ইস্তফা দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এই আসনে বিজেপির হয়ে লড়ছে ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বি ওয়াই রাঘবেন্দ্র। বিহারে বিজেপি জোট সঙ্গী জনতা দল (ইউনাইটেড)-ও কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জেএইচ প্যাটেলের ছেলে মহিম প্যাটেলকে দাঁড় করিয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস বঙ্গারাপ্পা ছেলে মধু বঙ্গারাপ্পা লড়ছেন জেডিএস-র হয়ে। যদিও শিবমঙ্গা বিজেপির দুর্গ বলে মনে করা হয়। আগামী ৬ নভেম্বর ৫টি আসনের ফলাফল প্রকাশ হবে।