প্রধানমন্ত্রীত্বে রুচি নেই রাহুলের
কোন রাজনৈতিক রণকৌশলে চলছেন রাহুল গান্ধী? কীভাবেই বা তিনি দেখছেন ভারতের রাজনীতিকে? ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঠিক কতটা ভাবিত `গ্রান্ড পার্টির` বর্তমান পুরুষ। এ নিয়ে রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে অনেক দরকষাকষি হয় ঠিকই। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গান্ধী পরিবারের রাজনীতিকে কাছ থেকে দেখে আসছে তাঁদের একধরেনর মত। আবার বিচক্ষনতার নিরিখে বর্তমান রাজনীতির বাস্তবিকতায় রাহুলকেও এগিয়ে রাখেন অনেকে। আসন্ন লকসভা নির্বাচনে লাখ টাকার প্রশ্ন, দেশের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে রাহুলকে কি ছাড়পত্র দেবেন মা সোনিয়া? রাহুল গান্ধী নিজে কিন্তু সবটাই দেখছেন একটু অন্য ভাবে। বলা ভাল একটু বৃহত্তর স্বার্থে। অন্তত মঙ্গলবার দলের সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।
কোন রাজনৈতিক রণকৌশলে চলছেন রাহুল গান্ধী? কীভাবেই বা তিনি দেখছেন ভারতের রাজনীতিকে? ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঠিক কতটা ভাবিত `গ্রান্ড পার্টির` বর্তমান পুরুষ। এ নিয়ে রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে অনেক দরকষাকষি হয় ঠিকই। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গান্ধী পরিবারের রাজনীতিকে কাছ থেকে দেখে আসছে তাঁদের একধরেনর মত। আবার বিচক্ষনতার নিরিখে বর্তমান রাজনীতির বাস্তবিকতায় রাহুলকেও এগিয়ে রাখেন অনেকে। আসন্ন লকসভা নির্বাচনে লাখ টাকার প্রশ্ন, দেশের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে রাহুলকে কি ছাড়পত্র দেবেন মা সোনিয়া? রাহুল গান্ধী নিজে কিন্তু সবটাই দেখছেন একটু অন্য ভাবে। বলা ভাল একটু বৃহত্তর স্বার্থে। অন্তত মঙ্গলবার দলের সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।
"প্রধানমন্ত্রী আসনে বসা আমার আমার লক্ষ্য নয়।" দিল্লির রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দেওয়ার জন্য স্বয়ং রাহুলের এই মন্তব্য যথেষ্ঠ। এখানেই থামলেন না রাহুল। তিনি যে আরও বৃহত্তর রাজনীতির কথা ভাবছেন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কংগ্রেসের `হাইকমান্ড কালচারের` ইতি টানা প্রয়োজন। নিন্দুকদের এই মতের জবাব দিতেই ৪২ বছরের যুব নেতা আজ এই রায় দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কংগ্রসের প্রথম সারির নেতা রাসিদ অলভির মতে, রাহুল দলের প্রতি যে আনুগত্য দেখিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সমর্থকরা চাইছেন রাহুলই হোক দেশের প্রধানমন্ত্রী। এ দিন লোকসভার অধিবেশন মুলতুবির পর সংসদের সেন্ট্রাল হলে বেলা ১টায় দলীয় সাংসদের নিয়ে আলোচনায় বসেন রাহুল। বৈঠকে রাহুল প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন শুনেই ভির ঝাঁপিয়ে পড়ে সেন্ট্রাল হলের সামনে।
ঠিক কী বললেন রাহুল গান্ধী? আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভরাডুবি আটকানোই যে তাঁর চ্যালেঞ্জ তা ঠাউরে দিতে কসুর করলেন না রাহুল। `নির্বাচনে কংগ্রেসের ভাল ফল করতে হবে`, রাহুলের তরফে বার্তা ছিল এতটুকুই। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, কিংবা কংগ্রেস হ্যাটট্রিক করতে পারবে কিনা সে নিয়ে একটাও কথা খরচ করেননি গান্ধী।
গত জানুয়ারিতেই তাঁকে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ঘোষণা করেছে দশ জনপথ। আশা অনেক। সে কারণেই তাঁকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ন আসনে বসানো হয়েছে। দলের অন্দরে ক্ষমতার কতৃত্বকে সমান ভাবে ভাগ করে নেওয়ারই পক্ষপাতি রাহুল। অন্তত এ দিনের কথায় সেটাই ধরা পরেছে। ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ শুরু হয় ইন্দিরা গন্ধীর সময় থেকে। সেটা যেময় একটা সময় ছিল। আজকের সময়টা অনেকটাই আলাদা। কংগ্রেস ব্যাটন এখন এমন একজনের হতে যাঁর দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রীত্বের মায়া ছেড়ে রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেসের নম্বর টু হয়ে থাকাটাই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় কিনা সেটাই এখন দেখার।