প্রদেশ কংগ্রেস অফিস থেকে সরানো হল পোস্টার, দলের বৈঠকে আজই বরখাস্ত করা হবে সচিনকে!

রাজস্থানে বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ২০০। তার মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে ৭৩ বিধায়ক। সচিনের ৩০ বিধায়ক ধরলে দাঁড়ায় ১০৩।

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jul 13, 2020, 12:24 PM IST
প্রদেশ কংগ্রেস অফিস থেকে সরানো হল পোস্টার, দলের বৈঠকে আজই বরখাস্ত করা হবে সচিনকে!
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার রাতে দলের বৈঠকে যাননি সচিন পাইলট। সোমবার এগারোটায় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাড়িতে দলের বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও এখনও আসেননি সচিন। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির দফতর থেকে সচিনের সব পোস্টার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাজস্থান কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজই বরখাস্ত করা হতে পারে দলের সভাপতি ও উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটকে। সবেমিলিয়ে রাজনৈতিক নাটক জমজমাট এখন রাজস্থানে।

আরও পড়ুন-করোনায় কাবু দেশ! আক্রান্ত ৯ লক্ষের দোরগোড়ায়

রবিবার দলের সমস্যা নিয়ে দিল্লিতে দরবার করতে গিয়েছিলেন সচিন পাইলট। সেখানে খুব বেশি সুবিধে করতে পারেননি তিনি। জয়পুরে গেহলট শিবিরের তত্পরতাও তার প্রমাণ দেয়। রাজ্যের উপ মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যা করা প্রয়োজন সেটাই করছেন গেহলট। আজ তাঁর বাড়িতে দলের বৈঠকে হাজির হয়েছেন দলের ৯০ বিধায়ক। ওই বৈঠকে বিধায়কদের হাজির থাকার ব্যাপারে হুইপ জারি করা হয়েছে।

এদিকে দল যে ভাঙছে তা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছে গেহলট শিবির। এআইসিসির জেনারেল সেক্রেটারি পি এল পুনিয়া তো টুইট করেই দিয়েছেন, সচিন পাইলট এখন বিজেপিতে। এদিকে, কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, কংগ্রেস সচিনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।  রাজস্থানে কংগ্রেস বিধায়কদের কাছে আবেদন, মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। তাই আজ দেলর বৈঠকে হাজির থেকে সব বিধায়কদের উচিত দলের হাত শক্ত করা।

এদিকে, সূত্রের খবর সচিন পাইলটের সঙ্গে রয়েছেন ৩০ কংগ্রেস বিধায়ক। প্রকাশ্যে এখনও ঘোষণা না হলেও এরকমই দলীয় সূত্রে খবর। এদিকে, গেহলট শিবিরের দাবি তাদের সঙ্গে রয়েছেন দলের ১০৭ বিধায়ক। ফলে এবার বাকীটা অঙ্কের খেলা।

আরও পড়ুন-বাড়ির অদূরেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বিজেপি বিধায়কের দেহ, CBI তদন্তের দাবি দিলীপের

রাজস্থানে বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ২০০। তার মধ্যে বিজেপির হাতে রয়েছে ৭৩ বিধায়ক। সচিনের ৩০ বিধায়ক ধরলে দাঁড়ায় ১০৩।  কিন্তু তাতেও বিজেপির পক্ষে সরকার গঠন করা কঠিন, যদি না দল ভাঙানো না যায়। কংগ্রেসকে সরকার গঠনে সমর্থন দিয়েছিলেন ১০ নির্দল বিধায়ক। এছাড়াও কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন আরএলডি, সিপিএম ও ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির ৫ বিধায়ক। ফলে সচিন বিজেপিতে নাম লেখালেও বিজেপির সামনে শক্ত পরীক্ষা।

.