রাজ্য়পালের দেওয়া 'পয়েন্টস' নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে গেহলট
মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের শুক্রবার থেকে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে পাল্টা শর্ত আরোপ করেছিলেন রাজ্যপাল।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/02/15/175944-pic.jpg?itok=IdW8_3Y2)
![রাজ্য়পালের দেওয়া 'পয়েন্টস' নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে গেহলট রাজ্য়পালের দেওয়া 'পয়েন্টস' নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে গেহলট](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/07/28/264881-18-ashok-gehlot.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যপাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরদিনই আজ মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। শুক্রবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সোমবার সেই প্রস্তাব নিয়ে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু রাজ্যপাল সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। পাল্টা আস্থা ভোটের পক্ষে সওয়াল করেন। এরপরই আজ নিজের মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
প্রসঙ্গত, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের শুক্রবার থেকে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে পাল্টা শর্ত আরোপ করেছিলেন রাজ্যপাল। মূলত ৩টি শর্ত দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যেখানে বলা ছিল, এক, বিধানসভা অধিবেশন ডাকার জন্য ২১ দিনের নোটিস দিতে হবে। দুই, বিধানসভা অধিবেশন বসাতে গেলে কীভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে, তার পরিকল্পনা করতে হবে। গেহলটকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল আরও লেখেন যে, তিনি বিধানসভা অধিবেশন ডাকার বিপক্ষে নন। কিন্তু অধিবেশন ডাকতে গেলে, আগে এই বিষয়গুলি নজরে রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, দলবিরোধী কাজের জন্য সচিন পাইলটকে কংগ্রেস থেকে বরখাস্ত করার পরই মরুশহরের রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ ঘিরে দেখা দিয়েছে জট। বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের দলে আছেন আরও ১৮ জন। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান বিধানসভায় ক্ষমতা দখলের জন্য ঝাঁপিয়েছে বিজেপিও। এদিকে কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যপাল বিজেপির হাতের পুতুল। বিজেপির অঙ্গুলিলেহনে চলছে। যদিও, কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ খারিজ করে গেহলটকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র বল ঠেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কোর্টেই।
তিনি লিখেছেন, "জনসমক্ষে আপনিই আস্থা ভোটের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আপনার দেওয়া প্রস্তাবে আস্থা ভোটের কোনও উল্লেখ নেই। আপনি কি আস্থা ভোট চান? এই বিশ্বমারী পরিস্থিতিতে এত কম সময়ের মধ্যে সব বিধায়কদের একসঙ্গে ডাকা কঠিন। সেক্ষেত্রে আপনি কি বিধায়কদের ২১ দিনের নোটিস দিতে পারবেন?" পাশাপাশি, অধিবেশন ডাকা-ই হোক বা আস্থা ভোট-ই হোক, বিধানসভা কক্ষের ভিতর কীভাবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা হবে? তা নিয়েও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন, মুরগির ডিম খেয়ে পেট ফুলে ঢোল গোখরোর, ওদিকে জালে জড়িয়ে ফাঁদে পড়ল কেউটে!