আইনের ফাঁক গলে কীভাবে বেঁচে যাচ্ছে কাশ্মীরি পাথরবাজরা, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ বুধবার রাজ্যসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টেই মিলেছে ওই প্রশ্নের উত্তর।

Updated By: Dec 19, 2018, 05:33 PM IST
আইনের ফাঁক গলে কীভাবে বেঁচে যাচ্ছে কাশ্মীরি পাথরবাজরা, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েকদিন আগের ঘটনা। জম্মু-কাশ্মীরের একটি গ্রামে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি চালাতে যায় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। জঙ্গিদের খতম করতে পারলেও সেদিন পাথরবাজদের হামলার মুখে পড়তে হয় যৌথবাহিনীকে। গুলির লড়াইয়ে প্রাণ যায় সাতজনের।

আরও পড়ুন: অমিত শাহের বৈঠক বাতিল! কার্যত শূন্য হাতেই দিল্লি থেকে ফিরল বঙ্গ বিজেপি

এ নিয়ে হইচই শুরু হয় দেশজুড়ে। সেনা ও পুলিশ কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ উঠছে। পালটা সেনার সমর্থনে সরব হতে দেখা গিয়েছে অনেককে। প্রশ্ন উঠেছে, পাথরবাজরা বারবার সেনার বিরুদ্ধে হামলা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না?

সেই প্রশ্নের উত্তরই এতদিন অধরা ছিল। এবার তা প্রকাশ্যে চলে এল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ বুধবার রাজ্যসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টেই মিলেছে ওই প্রশ্নের উত্তর।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সেনার উদ্দেশ্যে পাথর ছোড়া ও দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংবিধানে কিছু লেখা নেই। তাই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

ওই রিপোর্টে এই মুহূর্তে কাশ্মীরের পরিস্থিতির কথা বিস্তারিতভাবে লেখা হয়েছে। অন্য বছরের সঙ্গে এবছরের অনুপ্রবেশের পরিসংখ্যানের তুল্যমূল্য বিচারও করা হয়েছে। সেখানে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এবছর জঙ্গিরা ২৮৪ বার নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে তাদের সাফল্য এসেছে ১২৮ বার। গত বছর ১১৩ বার জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছিল কাশ্মীরে।

একই সঙ্গে সেনার উপর পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার সংখ্যা এ বছর উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত বছর ৩২৯ বার হামলা হয়েছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৭ বার। সেই হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ৮৬ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। নিহত হয়েছে ২৩৮ জন জঙ্গি। এই লড়াইয়ের জেরে ৩৭ জন সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। একাধিকবার পাথরবাজদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে সেনা-পুলিশকে।

আর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার এই ফাঁক গলে কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াচ্ছে। সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য পাকিস্তান সহায়তা করছে গোপনে। নয়াদিল্লির পাকিস্তান দূতাবাস থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সেই সহায়তাতেই গড়ে উঠেছে 'ইউথ উইং ফর ফ্রিডম' নামে একটি দল।

আরও পড়ুন: রাহুলকে অন্ধকারে রেখেই উত্তরপ্রদেশে আসন সমঝোতা অখিলেশ-মায়াবতীর!

এনআইএ-র একটি সূত্রের বক্তব্য, ওই দলই কাশ্মীরের যুবকদের ভুল বোঝাচ্ছে। সেনার বিরুদ্ধে হামলা করছে। এমনকী, ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র করছে।

.