এবার হেলিকপ্টার কেনায় ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ
এবার ভারতীয় ভিভিআইপি`দের জন্য হেলিকপ্টার সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩৫০ কোটি টাকা কাটমানি লেনদেনের অভিযোগ উঠল। আর সেই সঙ্গেই কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে আড়াই দশক আগের বফর্স কাণ্ডের পর ফের সামনে চলে এল `ইতালিয়ান কানেকশন`-এর কাহিনি।
এবার ভারতীয় ভিভিআইপি`দের জন্য হেলিকপ্টার সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩৫০ কোটি টাকা কাটমানি লেনদেনের অভিযোগ উঠল। আর সেই সঙ্গেই কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে আড়াই দশক আগের বফর্স কাণ্ডের পর ফের সামনে চলে এল `ইতালিয়ান কানেকশন`-এর কাহিনি।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সরকারের সঙ্গে ১২টি অগস্টা-ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার সরবরাহের চুক্তি করে সংশ্লিষ্ট ইতালীয় সংস্থাটি। অভিযোগ, নয়াদিল্লিকে ৩,৫৪৬ কোটি টাকার এই হেলিকপ্টার সরবরাহের বরাত পাওয়ার জন্য সুইজারল্যান্ডের কর্পোরেট লবিস্ট গুইডো রাল্ফ হাশ্চকে`কে ৫.১ কোটি ইউরো (৩৫০ কোটি টাকা) কাটমানি দিয়েছিল অগস্টা-ওয়েস্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহে অগস্টা-ওয়েস্টল্যান্ড-এর প্রধান অংশীদার ইতালীয় সংস্থা `ফিনমেক্কানিকা`র বৈদেশিক সংযোগ বিভাগের প্রাক্তন প্রধান লরেঞ্জো বোরগোজনি এই অভিযোগ এনেছেন। লরেঞ্জোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইতালি সরকার। তদন্তের স্বার্থে সুইস সরকারের সাহায্য নিয়ে ইতিমধ্যেই গুইডো রাল্ফ হাশ্চের অফিসে ইতালীয় গোয়েন্দারা হানা দিয়েছেন বলেও সেদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত খবর।
ভিভিআইপি`দের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখে হেলিকপ্টার কেনার এই বিষয়টি ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোনও সমরাস্ত্র বা অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে দালাল বা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ফলে অগস্টা-ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার কাণ্ডের সঙ্গে এক সুইস `ডিফেন্স ডিল কনসালটেন্ট`-এর নাম উঠে আসায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে ইউপিএ সরকার। এদিন সংসদ ভবনের বাইরে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে এ কে অ্যান্টনি বলেছেন, ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য প্রতিরক্ষা সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ইতালীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য রোমে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে সাউথ ব্লকের তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।