অসমে চূড়ান্ত তালিকাতেও বিদেশিই রয়ে গেলেন কার্গিল যুদ্ধের সৈনিক সানাউল্লাহ

এবারও নাম উঠল না। তবু আশা ছাড়তে নারাজ অসমের মহম্মদ সানাউল্লাহ। 

Updated By: Aug 31, 2019, 10:39 PM IST
অসমে চূড়ান্ত তালিকাতেও বিদেশিই রয়ে গেলেন কার্গিল যুদ্ধের সৈনিক সানাউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ পর্যন্ত বিদেশিই হয়ে গেলেন কারগিল যোদ্ধা মহম্মদ সানাউল্লাহ। এবার আদালতে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাললে যাওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা থাকছে না। এর আগে বিদেশি চিহ্নিত  হয়ে জেলে যেতে হয় কারগিল যুদ্ধের সৈনিক সানাউল্লাহকে। পরে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পান। নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকায় নাম উঠেছে সানাউল্লাহর। তাঁর সঙ্গে নাম রয়েছে সন্তানদেরও।  

এবারও নাম উঠল না। তবু আশা ছাড়তে নারাজ অসমের মহম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি কর্গিল যুদ্ধে দেশের হয় জীবনপণ করেছিলেন। যুদ্ধ বিজয় হয়েছে, অবসর নিয়েছেন তিনিও। কিন্তু আসলে যেন যুদ্ধ শেষ হয়নি। নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকায় এবারও বাদ পড়েছেন। তিনি নাকি এদেশের নাগরিক নন। তবে ভেঙে পড়েননি প্রাক্তন সেনা। লড়াই করছেন আদালতে। দেশের প্রতিও বিশ্বাস ভালোবাসা অটুট। বলছেন বাড়ির অন্যদের নাম উঠেছে, আর নতুন করে নাম ওঠার সুযোগ তো রয়েইছে। সানাউল্লাহর কথায়, 'জানতাম নাম থাকবে না। দেশের আইনের উপরে সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। সুবিচার পাবই।'' 

২০১৮ সালের ৩০ জুলাই প্রকাশিত হয়েছিল নাগরিক পঞ্জির খসড়া। সেই খসড়া তালিকায় ৩ কোটি ২৯ লক্ষের মধ্যে বাদ পড়েছিলেন ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সেই ৪০ লক্ষের মধ্যে ছিলেন মহম্মদ সানাউল্লা। যিনি কার্গিলে দেশরক্ষায় ছিলেন। ৩০ বছর সেনায় ক্যাপ্টেন পদে কাজ করেছেন সানাউল্লাহ। পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি সম্মানও। সেই তাঁকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পাঠানো হয়েছিল ক্যাম্পে। হাইকোর্টে আবেদন করে প্রাক্তন সৈনিকের পরিবার। ২০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পান সানাউল্লাহ। শনিবার নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকায় মহম্মদ সানাউল্লাহর নামের সঙ্গে বাদ পড়েছে তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলের নাম। তবে ঠাঁই পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

অসমে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন। খসড়ায় বাদ পড়েছিলেন ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় তা কমে হয়েছে ১৯ লক্ষ। আশ্চর্যের বিষয়, এনআরসি তালিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস-বিজেপি দুপক্ষই। তারা মনে করছে, বৈধ নাগরিকরাই বাদ পড়েছেন। আর ঢুকে পড়েছেন বিদেশিরা। হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁসা দক্ষিণ সালমারা, ধুবড়ির মতো এলাকায় অনুপ্রবেশকারী লোকজনের বাদপড়ার হার সবচেয়ে কম। তার থেকে যেখানে যেসব জেলার প্রকৃত অসমিয়ারা বাস করেন সেখানে বাদ পড়ার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কীভবে এটা হতে পারে? এনআরসি নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই।

আরও পড়ুন- রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করছিল, মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়: মমতা

.