কাঁটাতারের আতঙ্ক
পঞ্জাবের খালরা গ্রামের ভারত-পাক সীমান্ত দিয়েই ওপারে চলে গিয়েছিলেন সরবজিত সিং। খালরার বাসিন্দাদের মতে, সে সময় সীমান্তে বেড়া ছিল না। তাই ভুল করেছিলেন সরবজিত। এখন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, নিয়মিত টহলদারি থাকলেও আতঙ্ক কাটেনি। তবুও সীমান্ত পেরিয়ে গেলে সরবজিতের মত পরিণতি হবে কিনা, সেই আতঙ্ক এখন তাড়া করে ফিরছে খালরার বাসিন্দাদের।
পঞ্জাবের খালরা গ্রামের ভারত-পাক সীমান্ত দিয়েই ওপারে চলে গিয়েছিলেন সরবজিত সিং। খালরার বাসিন্দাদের মতে, সে সময় সীমান্তে বেড়া ছিল না। তাই ভুল করেছিলেন সরবজিত। এখন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, নিয়মিত টহলদারি থাকলেও আতঙ্ক কাটেনি। তবুও সীমান্ত পেরিয়ে গেলে সরবজিতের মত পরিণতি হবে কিনা, সেই আতঙ্ক এখন তাড়া করে ফিরছে খালরার বাসিন্দাদের।
পঞ্জাবের খালরা গ্রামে ভারত পাক সীমান্ত। আজ সেখানে রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। রয়েছে চেকপোস্ট, কড়া টহলদারি। দু`দশক আগে কিন্তু এমনটা ছিল না। ছিল না কাঁটাতারের বাধা। খালরা গ্রামে আজও সরবজিতের বহু বন্ধু পরিচিতের বাস। তাঁরা নিশ্চিত সম্পূর্ণ নির্দোষ সরবজিত। সীমান্ত নির্দিষ্ট না থাকার ফলেই ভুল বশত ঢুকে পড়েছিলেন পাকিস্তানে।
খালরা গ্রাম সংলগ্ন সীমান্ত চিনতে আজ আর ভুল হয়না। কাটাঁতারের বেড়া, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহলদারি সতর্ক করার পক্ষে যথেষ্ট। বেড়ার ওপারে খালরা গ্রামের বহু বাসিন্দার জমি রয়েছে। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে গিয়ে চাষের কাজও করেন তারা। তবে আতঙ্ক একটা থেকেই গেছে। সম্প্রতি সরবজিতের মৃত্যুর পর সেই আতঙ্কই বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন।
সরবজিতের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ খালরা গ্রামও। কয়েক দশকের টানাপোড়েনের পর শেষে সরবজিতের নিথর দেহ দেশে ফিরবে এমনটা হয়তো ভাবেননি কেউই। গোটা ঘটনার জন্য পাকিস্তানের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সরবজিতের পরিচিতেরা।