সব লড়াই সেরে, মুক্তি পেয়ে, গ্রামে ফিরল সরবজিতের দেহ
সরবজিতের দেহ নিয়ে বিশেষ বিমান পৌঁছল অমৃতসরে। রাত ৯টা নাগাদ সরবজিতের দেহ নিয়ে আসা হয় অমৃতসরে ভিখিউইন্ড গ্রামে। কাল অমৃতসরেই মৃতদেহের আরও একবার ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পৈতৃক বাড়ি পাঞ্জাবের তরণ তারণের ভিখিউইন্ড গ্রামে। লাহোরের জিন্না হাসপাতালে দুই ভারতীয় কূটনীতিকের হাতে আজ তুলে দেওয়া হয় সরবজিত সিংয়ের মরদেহ।
সরবজিতের দেহ নিয়ে বিশেষ বিমান পৌঁছল অমৃতসরে। রাত ৯টা নাগাদ সরবজিতের দেহ নিয়ে আসা হয় অমৃতসরে ভিখিউইন্ড গ্রামে। কাল অমৃতসরেই মৃতদেহের আরও একবার ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পৈতৃক বাড়ি পাঞ্জাবের তরণ তারণের ভিখিউইন্ড গ্রামে। লাহোরের জিন্না হাসপাতালে দুই ভারতীয় কূটনীতিকের হাতে আজ তুলে দেওয়া হয় সরবজিত সিংয়ের মরদেহ।
জিন্না হাসপাতালে সরবজিতের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়। ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের প্রাথমিক ময়না তদন্ত রিপোর্টে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে। লাহোর বিমানবন্দরেও সরবজিতের দেহ নিয়ে একপ্রস্থ টানাপোড়েন হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে জটিলতা বাড়িয়ে বিমানবন্দরে বেশ কিছু সময় দেহ আটকে রাখা হয়।
এক সংবাদপত্রের খবর পাকিস্তানের এক গুপ্তচর দাবি করেছেন সরবজিতকে খুন করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ লাহোরের জিন্না হাসপাতালে মৃত্যু হয় সরবজিত্ সিংয়ের। তাঁর দেহ জিন্না হাসপাতালের মর্গে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল টিম। সরবজিত সিংয়ের দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তাঁর পরিবার। সরবজিতকে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সরবজিত সিংয়ের শেষকৃত্য হোক।
১৯৯০ সাল থেকে পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন সরবজিত্ সিং। তিনি লাহোর ও মুলতানে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত। সরবজিতকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেয় পাক আদালত। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয় পাক সুপ্রিম কোর্টও। সরবজিতের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। এরপরে পাকিস্তান পিপলস পার্টি নেতৃত্বাধীন পাক সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য সরবজিতের প্রাণদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয়। এই পরিস্থিতিতেই গত শুক্রবার লাহোরের কোট লাখপত জেলে সরবজিতের ওপর হামলা চালায় ছয় পাক বন্দি।
তাঁর মাথায় ইট দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়। উদ্ধার করার পর লাহোরের জিন্না হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সরবজিতকে। দ্রুত কোমাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। উপযুক্ত চিকিত্সার জন্য সরবজিতকে দেশে ফেরানোর অনুমতি চেয়ে পাকিস্তান সরকারকে বার বার অনুরোধ জানায় ভারত। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি ইসলামাবাদ। যদিও, সরবজিতের বোন, স্ত্রী ও দুই মেয়ের পনেরোদিনের ভিসা মঞ্জুর করে পাকিস্তান। রবিবার তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে সরবজিতকে দেখে আসেন।