শীর্ষ আদালতে ধিকৃত মানচিনি

ভারতীয় মত্‍স্যজীবী খুনের ঘটনায় আজ সুপ্রিম কোর্টে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হলেন ইতালির রাষ্ট্রদূত   ড্যানিয়েল ম্যানচিনি। শীর্ষ আদালত জানালো এই ঘটনায় মানচিনি ইতিমধ্যেই তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। আজ শীর্ষ আদালতে একটি হলফনামা পেশ করে মানচিনি দাবি করেন ভিয়েনা সম্মেলন অধীনে তাঁর কাছে সম্পূর্ণ আইনি রক্ষাকবচ আছে। কিন্তু এই দাবি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ব্যক্তিকে আদালতে হলফনামা পেশ করতে হয়, তাঁর কাছে কোনও রক্ষা কবচ থাকতে পারে না। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এই দেশ ছেড়ে যেতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিলের দুই  তারিখ।

Updated By: Mar 18, 2013, 10:49 AM IST

ভারতীয় মত্‍স্যজীবী খুনের ঘটনায় আজ সুপ্রিম কোর্টে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হলেন ইতালির রাষ্ট্রদূত   ড্যানিয়েল ম্যানচিনি। শীর্ষ আদালত জানালো এই ঘটনায় মানচিনি ইতিমধ্যেই তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। আজ শীর্ষ আদালতে একটি হলফনামা পেশ করে মানচিনি দাবি করেন ভিয়েনা সম্মেলন অধীনে তাঁর কাছে সম্পূর্ণ আইনি রক্ষাকবচ আছে। কিন্তু এই দাবি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ব্যক্তিকে আদালতে হলফনামা পেশ করতে হয়, তাঁর কাছে কোনও রক্ষা কবচ থাকতে পারে না। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এই দেশ ছেড়ে যেতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এপ্রিলের দুই  তারিখ।
গত চোদ্দোই মার্চ ইতালির রাষ্ট্রদূতকে ভারত না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশিকায় বলা ছিল,  সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময়সীমা ২২ মার্চের মধ্যেই দুই নাবিককে ভারতে প্রত্যার্পণের বিষয়ে মুচলেকা দিতে হবে তাঁকে। 
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে অভিযুক্ত দুই  নাবিককে ইতালি সরকার হস্থান্তর না করলে বিদেশমন্ত্রীকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজনে এনিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইবুনালে যেতে পারে ভারত।
ইতালিতে সাধারণ নির্বাচনের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত দুই নাবিককে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে নিযুক্ত ইতালিয় রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল ম্যানচিনি ওই অনুমতিপত্রে স্বাক্ষরও করেন। কিন্তু, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্ত দুই নাবিক ভারতে ফেরেনি। সোমবারই ইতালির বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, দুই নাবিককে ভারতের হাতে তুলে দিতে নারাজ তারা। বরং সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী ইতালি। এরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত।

.