স্পেকট্রাম কাণ্ডে কৈফিয়ত চাইল সুপ্রিম কোর্ট ৫৪৯ কোটি দুর্নীতির অভিযোগ মারানের বিরুদ্ধে
টুজি স্পেকট্রাম কাণ্ডে কেন্দ্রের কাছে কৈফিয়ত তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর তত্কালীন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজাকে স্পেকট্রাম নিলামের সুপারিশ করে একটি চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
টুজি স্পেকট্রাম কাণ্ডে কেন্দ্রের কাছে কৈফিয়ত তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর তত্কালীন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজাকে স্পেকট্রাম নিলামের সুপারিশ করে
একটি চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন স্পেকট্রামের লাইসেন্স নিলাম করা হল না, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধানমন্ত্রীর চিঠির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই প্রশ্ন তোলায় রীতিমতো অস্বস্তিতে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি চেয়েছে বামেরা।
অন্য দিকে ২০০৭-০৭ এর স্পেকট্রাম বণ্টন অনিয়ম নিয়ে তত্কালীন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর-এ ৫৪৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে সিবিআই। সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এয়ারসেল কর্ণধার শিবশঙ্করণকে মালয়েশিয়ার কোম্পানি ম্যাক্সিস`কে শেয়ার হস্তান্তরে বাধ্য করেছিলেন দয়ানিধি।এর পরই দেশের ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের স্পেকট্রাম লাইসেন্স পায় এয়ারসেল। আর এই `বদান্যতার` বিনিময়ে দয়ানিধির দাদা কলানিধি মারানের সংস্থা অ্যাস্ট্রো নেটওয়ার্কে মোটা টাকা বিনিয়োগ করে ম্যাক্সিস গোষ্ঠীর প্রধান আনন্দকৃষ্ণন এবং সিইও রালফ মার্শাল। পুরো প্রক্রিয়ায় টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(ট্রাই)-র বর্তমান অধিকর্তা জে এস শর্মার কোনও ভূমিকা ছিল কি না তা নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের তরফে ২০১০-এর থ্রিজি স্পেকট্রাম নিলাম সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য শর্মার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।