মহারাষ্ট্রে বিজেপির নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করল শিবসেনা
হালে পানি না পেয়ে আগেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে বিরোধিতা ছেড়ে সুর নরম করেছিল শিবসেনা। এবার সেই নরম সুরের রেশ ধরেই উদ্ধব ঠাকরের দল জানিয়ে দিল সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে বিজেপির সিদ্ধান্তের পূর্ণ সমর্থন করবে তারা।
মুম্বই: হালে পানি না পেয়ে আগেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে বিরোধিতা ছেড়ে সুর নরম করেছিল শিবসেনা। এবার সেই নরম সুরের রেশ ধরেই উদ্ধব ঠাকরের দল জানিয়ে দিল সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে বিজেপির সিদ্ধান্তের পূর্ণ সমর্থন করবে তারা।
নীতীন গড়কড়ি বা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, যিনিই মহারাষ্ট্রের মসনদে বসবেন তাঁকেই সমর্থন করবে শিবসেনা। আজ দলীয় মুখপত্র 'সামনা'-তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এ কথা সাফ জানানো হয়েছে।
এই প্রবন্ধেই বলা হয়েছে শিবসেনা চায় মহারাষ্ট্রে অনুপ্রেরণীয় নেতৃত্বে 'শিব রাজ্য' প্রতিষ্ঠিত হোক।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র বিজেপি খুব শীঘ্র মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকটে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রাজনাথ সিং। যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন আগামী ৩০ অক্টোবর ওয়াংখেড়েটে সম্ভবত শপথ নেবেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রে খবর, গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চা চক্রেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি-শিবসেনার মধ্যে কোনও কংক্রিট আলোচনাই হয়নি।
যদিও এই চা চক্র নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। মনে করা হয়েছিল মোদীর চা চক্রেই ঘুচবে বিবাদ। আশা করা হয়েছিল কালকেই ঘোষণা হয়ে যাবে মহারাষ্ট্রে ফের হাত ধরাধরি করে চলবে বিজেপি ও শিবসেনা। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা এখন তুঙ্গে। গতকাল এনডিএ শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও, সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তবে, দলের প্রতিনিধিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত গীতে।
২৫ বছরের ঘর ভেঙে গিয়েছিল শুধুমাত্র আসন সমঝোতা নিয়ে বিবাদের ঝড়ে। কিন্তু, তাতে আখেরে লাভবান হয়েছিল বিজেপিই। মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তারা। ম্যাজিক ফিগারের থেকে মাত্র ২২টি কম আসন জিতেছে বিজেপি। তাহলে সরকার গড়তে কার হাত ধরবে তারা। প্রশ্নটা জটিল করে দিয়েছিল NCP। বিনা শর্তে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে তারা। কিন্তু, ভোটের পর প্রারম্ভিক পারস্পরিক তর্জন গর্জন চললেও, আসতে আসতে সমাঝোতার পথেই হাঁটার ইঙ্গিত মিলেছিল প্রাক্তন দুই জোট সঙ্গীর মধ্যেই।