Shraddha Walker Murder: 'মোদীকে ভোট দিন, নইলে শহরে শহরে আফতাব হবে!' শ্রদ্ধা খুনে সাবধানবাণী মুখ্যমন্ত্রীর
২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। তারপর নিথর শরীরকে ৩৫ টুকরো করতে একটুও হাত কাঁপেনি ২৮ বছরের ফুড ব্লগার। লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা চমকে দিয়েছে দেশবাসীকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মোদীকে ভোট দিন। নইলে শহরে শহরে আফতাব হবে। একটি জনসভায় গিয়ে মোদীর জন্য এই মর্মেই ভোট চাইলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গুজরাটের কচ্ছে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, 'দেশে যদি একজন শক্তিশালী নেতা না থাকেন, তবে প্রত্যেক শহরে আফতাবরা জেগে উঠবে।'
শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবার মতোই এই হত্যালীলার পিছনে হিমন্ত বিশ্বশর্মা 'লাভ জিহাদ'-এর অভিযোগ করেন। বলেন, 'আফাব শ্রদ্ধাকে মুম্বই থেকে নিয়ে আসে। তারপর তার দেহ লাভ জিহাদের নামে ৩৫ টুকরো করে। দেহাংশের সেইসব টুকরো আবার সে কোথায় রাখে? না ফ্রিজে। এদিকে ফ্রিজের ভিতর যখন শ্রদ্ধার দেহাংশ, তখন অন্য মহিলাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে আবার ডেটিং করতে শুরু করে। এখন যদি দেশে একজন শক্তিশালী নেতা না থাকেন, যে দেশকে নিজের মায়ের মত ভাবেন, তাহলে এই ধরনের আফতাব প্রত্যেক শহরে জন্মাবে। আমরা আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব না। তাই ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদীকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানানো, তৃতীয়বারের জন্য, আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
#WATCH | If today the country does not have a strong leader, a govt that respects nation as a mother, such Aftabs will emerge in every city and we will not be able to safeguard our society: Assam CM Himanta Biswa Sarma on Shraddha Murder Case (18.11.22) pic.twitter.com/HwZQn0BssF
— ANI (@ANI) November 19, 2022
প্রসঙ্গত, হাড়হিম করা শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে যেন রহস্য লুকিয়ে। তদন্তে রহস্যের জট যত খুলছে, ততই সামনে আসছে একের পর এর চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামনে এসেছে নির্মমভাবে খুন হওয়ারও আগে, লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনেওয়ালার হাতে একবার নির্যাতন শিকার হয়েছিলেন শ্রদ্ধা। সেইসময় শ্রদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করে আফতাব। যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হতে হয়েছিল শ্রদ্ধাকে। ৩ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। সেই সময়কার শ্রদ্ধার একটি ছবি থেকে স্পষ্ট তাঁর মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন।
২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। তারপর নিথর শরীরকে ৩৫ টুকরো করতে একটুও হাত কাঁপেনি ২৮ বছরের ফুড ব্লগার। লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা চমকে দিয়েছে দেশবাসীকে। খুনের ভয়াবহতা, নৃশংসতা শিরদাঁড়া দিয়ে বইয়েছে ঠান্ডা স্রোত। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আগেই আফতাব পুলিসকে জানিয়েছিল যে, ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে।
পাশাপাশি তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তার দেহ ৩৫ টুকরো করে যে ফ্রিজারে আফতাব সংরক্ষণ করেছিল, সেই ফ্রিজও শ্রদ্ধার টাকাতেই কেনা। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, মাঝ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু বের করে তার সঙ্গে কথাও বলত সে। এমনকি মেক-আপও করে দিত শ্রদ্ধার কাটা মণ্ডুতে! এরপর সেই কাটা মুণ্ডু জঙ্গলে ফেলার সময়, যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়েও দেয় ফুড ব্লগার আফতাব।
আরও পড়ুন, Satyendar Jain: জেলের বিছানায় শুয়েই ফুট ম্যাসাজ! তিহাড়ে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট সত্যেন্দ্র জৈনের
শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। শুধু তাই নয়। জেরায় আফতাব কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়!