গুগলের আমেরিকার অফিসের কর্মীর বাবার এ কী অবস্থা!
সব বাবা-মা-ই স্বপ্ন দেখে, তাঁদের সন্তান বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ গবে। তাঁদের দেখবে বুড়ো বয়সে। যত্ন করবে। দুটো খেতে দেবে। আর নিজের জীবন সফলভাবে কাটাবে। এরকমই গল্প রাজস্থানের তেজরাম শঙ্খলার। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মানুষ। ৫০ বছরের মানুষটা লরিতে হেনা ভর্তি করেন। কখনও কখনও সেটা নিয়ে যান প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দূরের শহরে। সারাদিনে খুব ভালো রোজগার হলে, তাঁর পকেটে আসে ৪০০টি টাকা। এটাই তাঁর ভালো দিনের রোজগার। কিন্তু তেজরামের ছেলে আজ গুগলের আমেরিকার অফিসের এক্সিকিউটিভ অফিসার!
ওয়েব ডেস্ক: সব বাবা-মা-ই স্বপ্ন দেখে, তাঁদের সন্তান বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ গবে। তাঁদের দেখবে বুড়ো বয়সে। যত্ন করবে। দুটো খেতে দেবে। আর নিজের জীবন সফলভাবে কাটাবে। এরকমই গল্প রাজস্থানের তেজরাম শঙ্খলার। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মানুষ। ৫০ বছরের মানুষটা লরিতে হেনা ভর্তি করেন। কখনও কখনও সেটা নিয়ে যান প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দূরের শহরে। সারাদিনে খুব ভালো রোজগার হলে, তাঁর পকেটে আসে ৪০০টি টাকা। এটাই তাঁর ভালো দিনের রোজগার। কিন্তু তেজরামের ছেলে আজ গুগলের আমেরিকার অফিসের এক্সিকিউটিভ অফিসার!
আরও পড়ুন কুককে নিয়ে 'রান্নাবাটি' খেললেন 'স্যর' জাদেজা
ছেলে রাম, গত ২০১৩ সালেই চাকরি পেয়েছিলেন গুগলে। তবে, তখন পোস্টিং ছিলেন এ দেশেরই অফিসে। এই বছরেরই এপ্রিল মাসে রাম পাড়ি দিয়েছেন আমেরিকার অফিসে। সেখানে মোটা মাইনের চাকরি করছেন। সংসারের হালও ফিরিয়ে দিয়েছেন। ছেলে চানও যে, তাঁর বাবা এবার একটু বিশ্রাম নিন। সারা জীবন অনেক তো কষ্ট করেছেন। কিন্তু কে শুনবে সে কথা! কারণ, তেজরাম এখনও রোজ কাজে বেরোন। ওই চারশো টাকা রোজগারটা তাঁর এখন না হলে দিব্যি চলে। কিন্তু মানুষটা যে চান না, বাড়িতে বসে থাকতে। তাই গুগলের ভালো পোস্টে চাকরি করা ছেলের বাবাও কিনা শ্রমিকের জীবন কাটিয়ে যাচ্ছেন আজও! ছেলেও এখন মেনে নিয়েছেন যে, বাবার মনের সুখ-শান্তিটাই বেশি দরকারি। ঠিকই। শুধু বাবার প্রতি সেই ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা আর কর্তব্যটা ঠিকঠাক থাকলেই চলবে।
আরও পড়ুন অনুরাগ ঠাকুর করুনের পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসা করছেন অন্য একজনের