বিচ্ছেদের টাইমলাইন
রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে। ৬ ঘণ্টার রাজনৈতিক তত্পরতায় ভেঙে গেল, সতেরো বছরের পুরনো জোট। এই সময়কালের মধ্যেই তৈরি হল জোট ভাঙার খসড়া, জেডিইউয়ের বৈঠকে পাস হল সেই খসড়া, তারপর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। একলা চলার প্রস্তুতি নিল বিজেপিও।
রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে। ৬ ঘণ্টার রাজনৈতিক তত্পরতায় ভেঙে গেল, সতেরো বছরের পুরনো জোট। এই সময়কালের মধ্যেই তৈরি হল জোট ভাঙার খসড়া, জেডিইউয়ের বৈঠকে পাস হল সেই খসড়া, তারপর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। একলা চলার প্রস্তুতি নিল বিজেপিও।
শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত নীতীশ কুমারের বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন শরদ যাদব। সেখানেই জোট ভাঙার কথা মোটামুটি ঠিক হয়ে যায়। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাটল টানটান উত্তেজনায়।
সকাল ১০টা- সুশীল মোদীর বাড়িতে বৈঠকে বিহার মন্ত্রিসভার বিজেপি মন্ত্রীদের। জোট ভাঙলেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। ইস্তফার খসড়া তৈরি।
বেলা সাড়ে ১১টা- নিজের বাড়িতে বিহার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন নীতীশ কুমার। বৈঠকে যোগ দিলেন না বিজেপির মন্ত্রীরা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে জোট ভাঙার রাজনৈতিক প্রস্তাব তৈরি। কড়া ভাষায় রাজনৈতিক প্রস্তাবের খসড়া।
দুপুর ১২টা- দিল্লিতে বিজেপি রাজনাথ সিংয়ের বাড়িতে জরুরি বৈঠক। বিহার থেকে আসা দলের কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি সভাপতি। বৈঠক রবিশঙ্কর প্রসাদ ও শাহনওয়াজ হুসেনের সঙ্গে।
বেলা সাড়ে ১২টা- নীতীশ কুমারের বাড়িতে জেডিইউয়ের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। জোট ভাঙার খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাবে চূড়ান্ত সীলমোহর।
দুপুর ২টো- রাজভবনে রাজ্যপাল ডিওয়াই পাটিলের সঙ্গে দেখা করলেন নীতীশ কুমার। সরকারিভাবে জানিয়ে দিলেন জোট ভাঙার কথা। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে বিশেষ অধিবেশন ডাকার অনুমতি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিজেপি মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করলেন।
বিকেল ৩টে- জেডিইউয়ের সাংবাদিক বৈঠক। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল জোট ভাঙার কথা।
বিকেল ৪টে- জোট ভাঙার পর পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিহারের বিজেপি মন্ত্রীরাও। উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী জানিয়ে দিলেন ইস্তফা দেওয়ার কথা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আগামী ১৯ তারিখ বিহার বিধানসভায় আস্থাভোটের ডাক দিয়েছেন নীতীশ কুমার।