শ্রীনগরে জম্মু-কাশ্মীরের সচিবালয় থেকে সরানো হল 'আলাদা' পতাকা, উড়ছে তেরঙা
৩৭০ অনুচ্ছেদ থাকায় জম্মু-কাশ্মীর সচিবালয়ে তেরঙার সঙ্গে থাকত রাজ্যের আলাদা পতাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জম্মু ও লাদাখের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে কাশ্মীর। এখনও কয়েকটি ক্ষেত্রে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এসবের মধ্যেই রবিবার জম্মু-কাশ্মীর সচিবলায় থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সে রাজ্যের আলাদা পতাকা। এখন সেখানে উড়ছে ভারতের তেরঙা।
৩৭০ অনুচ্ছেদ থাকায় জম্মু-কাশ্মীর সচিবালয়ে তেরঙার সঙ্গে থাকত রাজ্যের আলাদা পতাকা। একইসঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রীয় পতাকা বা প্রতীকের অবমাননা হলে আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হত না।
#JammuAndKashmir: State flag removed from Civil Secretariat building in SRINAGAR, only tricolor seen atop the building. pic.twitter.com/bwo6bOMNZi
— ANI (@ANI) August 25, 2019
১৯৪৯ সালে ১৭ অক্টোবর ভারতীয় সংবিধান যুক্ত করা হয় অনুচ্ছেদ ৩৭০। তার আগে জম্মু-কাশ্মীর সংবিধানসভায় পাশ হয়েছিল ৩০৬এ (অনুচ্ছেদ ৩৭০)। সংশোধনের আগে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতেন। রাজ্যের আলাদা পতাকাও ছিল। জাতীয় পতাকা বা প্রতীকের অবমাননা অপরাধ হিসেব গণ্য হত না। সুপ্রিম কোর্টের সব নির্দেশ জম্মু-কাশ্মীরের জন্য খাটত না। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আইন আনার ক্ষমতা ছিল ভারতীয় সংসদের। প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও যোগাযোগ ছাড়া আর কোনও আইন জম্মু-কাশ্মীরে লাগু হত না। আইন লাগু করতে গেলে সে রাজ্যের বিধানসভার সম্মতির দরকার পড়ত।
দ্বিতীয়বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। একইসঙ্গে লাদাখের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে, জম্মু-কাশ্মীরকে ভাগ করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ এখন আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা থাকবে তবে পুলিস থাকবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। লাদাখে আলাদা বিধানসভা থাকবে না। রাজ্যসভা ও লোকসভায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রস্তাব পাশ করাতে সম্মত কেন্দ্র। একইসঙ্গে পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। বলে রাখি, জম্মু-কাশ্মীর থেকে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের দাবি করে এসেছে গেরুয়া শিবির।
ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকে চটেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নালিশও করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু চিন ছাড়া পাকিস্তানের পাশে নেই কেউই। চিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে অ-আনুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সম্মত হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু সেখানে চিন ছাড়া পরিষদের আর কোনও স্থায়ী সদস্য পাশে দাঁড়ায়নি ইসলামাবাদের। এমনকি ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিও ভারতবিরোধী মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে।
আরও পড়ুন- বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে সিন্ধুগর্জন! ওকুহারাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পিভি সিন্ধু