'মার্শাল না থাকলে ডেপুটি চেয়ারম্যানকে শারীরিক নিগ্রহও করতে পারতেন বিরোধী সাংসদরা'
আইন মন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধী সাংসদদের ওই দিনের আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়, দায়িত্বজ্ঞাণহীন। ভোটাভুটি হওয়ার জন্য সাংসদদের শান্তভাবে অপেক্ষা করতে হতো
নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি বিলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল-সহ একাধিক দলের মোট ৮ সাংসদ। সাসপেনশন তোলার দাবিতে তাঁর এখনও ধর্নায় বসে রয়েছেন সংসদ ভবনে সামনের লনে। এনিয়ে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
আরও পড়ুন-সাসপেনশন না তুললে উঠব না, সংসদ ভবনের বাইরে রাতভর ধর্নায় ডেরেক-সহ ৮ বিরোধী সাংসদ
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে সঙ্গে নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, সাসপেন্ড হওয়ার পরও ওই ৮ সাংসদ কক্ষ ছাড়েননি। এভাবে তাঁরা সংসদের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। সোমবারও তাঁরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানতে চাননি। এখন সংসদের নিয়ম কেউ যদি না মানেন তাহলে তাঁরা গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন কীভাবে!
Suspended MPs who assaulted the Dy Chairman of RS yesterday refused to follow the orders of the Chairman today and created ruckus despite directions to leave the house. They have no moral authority to talk about democracy if they can’t respect the institutions of democracy. pic.twitter.com/n5kvH6ziCd
— Ravi Shankar Prasad (@rsprasad) September 21, 2020
উল্লেখ্য, রবিবার কৃষি বিলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওয়েল নেমে বিক্ষোভ দেখান ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেন-সহ একধিক বিরোধী সাংসদ। অভিযোগ, তাঁরা রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের মাইক ধরে টানাটানি করেন, রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টা করেন। এনিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর দেশের সংসদের ইতিহাসে একটি কালো দিন। ঠিক সময়ে মার্শাল না এসে কোনও সাংসদ হয়তো ডেপুটি চেয়ারম্যানকে শারীরিক নিগ্রহও করতে পারতেন।
আরও পড়ুন-লড়াই সংসদের বাইরেও, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থেকে রাস্তায় নামছে তৃণমূল
আইন মন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধী সাংসদদের ওই দিনের আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়, দায়িত্বজ্ঞাণহীন। ভোটাভুটি হওয়ার জন্য সাংসদদের শান্তভাবে অপেক্ষা করতে হতো। রেকর্ড রয়েছে অন্তত ১৩ বার সাংসদদের শান্ত হতে বলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান। কিন্তু তা না করে তাঁরা ডেপুটি চেয়ারম্যানের ওপরে চড়াও হন।