জার্মান নাগরিক হওয়ায় বিধায়ক পদ 'বাতিল' টিআরএস বিধায়কের
ওযেব ডেস্ক : জার্মান পাসপোর্ট থাকার কারণে টিআরএস-এর এক বিধায়কের ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিল করা হল। তিনি তেলেঙ্গানা বিধানসভায় শাসকদলের তিনবারের বিধায়ক। এর ফলে তাঁর বিধায়ক পদও খারিজ করা হল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে।
রমেশ চেন্নামানেনি ২০০৯ সাল থেকে বিধায়ক পদে লড়ছেন। যদিও প্রথমে তিনি অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে টেলেগু দেশম পার্টির(টিডিপি) প্রার্থী হয়ে লড়াই করেন। ভেমুলাওয়ারা থেকে জয়লাভ করেন তিনি। এরপর অবশ্য ২০১০ সালে তেলেঙ্গানা গঠনের পর তিনি টিডিপি ছেড়ে যোগ দেন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএসে। ওই বছরই রাজ্যের করিমনগর এলাকা থেকে ফের লড়াই করে জয়লাভ করেন রমেশ।
আরও পড়ুন- ভারত-পাক সম্পর্ক আরও অবনতি হতে পারে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষায়
কিন্তু, বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তিনি বেআইনি ভাবে এই নির্বাচনে লড়াই করেছেন। কারণ তিনি ভারতীয় নাগরিকই নন। এই মর্মে তাঁর বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে মামলা করা হয় বিরোধীদের পক্ষ থেকে। তদন্তে সামনে আসে তাঁর জার্মান নাগরিকত্বের বিষয়টি। সেই সঙ্গে এটাও জানা যায় ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য তিনি ভুয়ো তথ্য জমা দিয়েছেন। এরপরই অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল করে দেয়।
আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। ২০১৩ সালে এই মামলায় তাঁকে স্থগিতাদেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তার ওপর ভিত্তি করেই ফের ২০১৪ সালে ফের ভোটে দাঁড়ান রমেশ। জিতেও যান। কিন্তু তারপরও মামলা চলতে থাকে। অবশেষে এবার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল তিনি ভারতীয় নাগরিক নন। সেই সঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হয় তাঁর বিধায়ক পদও।
কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া তথ্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রমেশ চেন্নামানেনি কোনওদিন একটানা ১২ মাস দেশে থাকেননি, যা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে 'ফরেনার্স অ্যাক্ট'-এর পরিপন্থী। পাশপাশি, ভারতে নিয়ম অনুসারে কোনও ব্যাক্তি দুই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করতে পারেন না।