জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতার ঘটনা কমেছে ৫৪ শতাংশ, সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপের ফল!

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি রাজ্য সভায় জানিয়েছেন, গত বছরের ৫ অগস্ট থেকে ২০২০-র ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে ২১১টি। ২০১৮ ও ২০১৯-এর ওই একই সময়ে ৪৫৫টি হামলার রেকর্ড রয়েছে। 

Updated By: Sep 17, 2020, 12:43 PM IST
জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতার ঘটনা কমেছে ৫৪ শতাংশ, সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপের ফল!

নিজস্ব প্রতিবেদন- বৃহস্পতিবার সকালেই তিনজন জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। দুজন সেনা জওয়ান গুরুতর আহত। একজন মহিলাও প্রাণ হারিয়েছেন। নিত্যদিনই উপত্যকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। তবুও পরিসংখ্যান বলছে, কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর নাশকতার ঘটনা কমেছে ৫৪ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার উপত্যকায় নাশকতার ঘটনা অর্ধেক হয়েছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের জন্যই এমন সাফল্য বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি রাজ্য সভায় জানিয়েছেন, গত বছরের ৫ অগস্ট থেকে ২০২০-র ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে ২১১টি। ২০১৮ ও ২০১৯-এর ওই একই সময়ে ৪৫৫টি হামলার রেকর্ড রয়েছে। তিনি এমনও দাবি করেছেন যে গত এক বছরে উপত্যকায় কোনও বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি।
 
গত এক বছরে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের টার্গেট হয়েছেন নেতা-মন্ত্রীরা। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা, জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন অনেকেই। এমনকী দিনকয়েক আগেই জম্মুর একাধিক বিজেপি ও কংগ্রেস নেতাকে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিন। তার পর থেকে উপত্যকার নেতারা ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন। জঙ্গি সংগঠনের তরফে নেতা-মন্ত্রীদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে চরম ফল ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কাশ্মীরে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ ও ৩৫এ বাতিল ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পর দীর্ঘদিন কাশ্মীরিদের সমস্যা হয়েছিল। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছিল। তবে সাময়িক কষ্ট হলেও এই সিদ্ধান্ত সুদূরপ্রসারী ফল দিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি রেখে চলা হবে। কোথাও কোনও আপোসের প্রশ্নই নেই। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালিয়েছে সেনা ও পুলিস। গত কয়েক মাসে তাবর তাবর জঙ্গি নেতাদের খতম করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকী জঙ্গিদের সাহায্য করেছে যারা তাদেরকেও খুঁজে বের করতে উঠেপড়ে লেগেছে সেনা। উপত্যকায় জঙ্গি নেতাদের খোঁজে রোজও তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। তাছাড়া সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতেও সেনা বরাবরের মতো কড়া অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

.