উত্তরপ্রদেশে পরাজয় নিয়ে দোষারোপ শুরু কংগ্রেসে

সোনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী বিপর্যয়ের `ব্যাখ্যা`তেও যবনিকা পড়ল না বিতর্কে। হোলি উত্‍সবের মাঝেই উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে শুরু হল মুষল পর্ব!

Updated By: Mar 8, 2012, 03:24 PM IST

সোনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী বিপর্যয়ের `ব্যাখ্যা`তেও যবনিকা পড়ল না বিতর্কে। হোলি উত্‍সবের মাঝেই উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে শুরু হল মুষল পর্ব! এদিন সকালে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে `পাঞ্জে কা নিশান`-এর ভরাডুবির জন্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং অন্তর্ঘাত দায়ী করেছিলেন সুলতানপুরের কংগ্রেস সাংসদ সঞ্জয় সিং ও তাঁর স্ত্রী অমিতা। সেই সঙ্গে নাম না করে কার্যত ভোট ক্যাচার হিসেবে গান্ধী-নেহরু পরিবারের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। আর বেলা গড়াতেই কড়া শব্দে সেই অভিযোগের জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী রীতা বহুগুণা যোশি।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের খবর, এবারের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব না পেয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন সঞ্জয় । ভোটে তাঁর বিধায়ক স্ত্রী অমিতা সিংও আমেঠি কেন্দ্রে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। এমতাবস্থায় হোলির সকালে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন সঞ্জয় সিং। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সুলতানপুরে দলের প্রার্থীদের পরাজয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আমেঠির রাজা বলেন, দলের কোনও প্রার্থীই প্রচার বা নির্বাচনী রণকৌশল স্থির করার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। গোটা ভোটপর্বে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না বলে জানিয়ে সঞ্জয়ের সাফ কথা, "আমি জানতাম, এক জন প্রার্থীও জিততে পারবে না। আর ঠিক সেটাই হয়েছে"। নিজের বক্তব্য জানাতে আগামীকাল অমিতাকে নিয়ে তিনি দশ জনপথবাসিনীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

এক ধাপ এগিয়ে অমিতা সিং কংগ্রেসের ভোট-ভরাডুবির জন্য অন্তর্ঘাতকে দায়ী করেন। সেই সঙ্গে গান্ধী-নেহরু পরিবারের ক্যারিশমাকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ``আমার ধারণা যুগ বদলেছে। জওহরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী তারপর সোনিয়া গান্ধী হয়ে রাহুল, পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। আর আমরা যদি পারিবারিক রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের কথা বলি, তা হলে অখিলেশ যাদবও তো সেই ঐতিহ্যের ধারক।" সত্তরের দশকে সঞ্জয় গান্ধীর রাজনৈতিক অনুগামী হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় সিং অতীতে কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দল এবং বিজেপি করেছেন। তাঁর এদিনের বক্তব্য শুনে রাজনৈতিক মহলের ধারণা এবার শিবির বদলানোর সুনির্দিষ্ট উত্তরপ্রদেশের যাদব কুলপতির সঙ্গে সখ্য স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।
সঞ্জয় ও অমিতার এই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রীতা বহুগুণা যোশি। এবারের বিধানসভা ভোটে লখনউ(ক্যান্টনমেন্ট) থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক সুলতানপুরের দলীয় সাংসদের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, এ ভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে দোষারোপের পালা শুরু হলে তা হবে দলের প্রতি অন্যায়। তবে তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে ভোটে অন্তর্দলীয় অন্তর্ঘাতের কথা স্বীকার করে নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রীও।

.