শুক্রের সূর্য অতিক্রমণের সাক্ষী হল বিশ্ব

সূর্যের উপর শুক্রের সরণ‌! বুধবার সকালে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হল কলকাতাও। শুক্রের সূর্য অতিক্রমণ দেখতে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করেছিলেন অসংখ্য মানুষ।

Updated By: Jun 6, 2012, 08:47 AM IST

সূর্যের উপর শুক্রের সরণ‌! বুধবার সকালে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হল কলকাতাও। শুক্রের সূর্য অতিক্রমণ দেখতে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করেছিলেন অসংখ্য মানুষ। ভোরের দিকে হালকা মেঘ থাকায় শুক্রের অতিক্রমণ ভালোভাবে দেখা যায়নি। সকালে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পর সেই সমস্যা আর ছিল না। তারপর গোটা সকালই সূর্যের দিকে তাকিয়ে থেকেছে কমবয়সী থেকে বয়স্ক, সকলেই । নিজের কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় আজ সকালে পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে এসেছে শুক্র গ্রহ। তার ফলে সূর্যের ওপর দিয়ে শুক্রের অতিক্রমণ হয়েছে। সূর্যে শুক্রের এই অতিক্রমণ দেখতে চলমান টিপের মতো।
ভোর থেকে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তবে কিছুক্ষণ পর থেকে পরিষ্কার হয় আকাশ। তারপরই দর্শকরা সূর্যের ওপর কালো বিন্দুর মতো শুক্রের ছায়া দেখতে পান। মেঘ-সূর্যর আলোআঁধারি, উত্সাহে ভাঁটা পড়তে দেয়নি এতটুকুও। বিরল এই মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে অধীর আগ্রহে ছিল কলকাতা। বিভিন্ন জায়গায় কচিকাঁচাদের ভিড় তো ছিলই, উপস্থিত ছিলেন বয়স্করাও। শুক্রের সূর্য অতিক্রমের পরবর্তী দৃশ্য দেখা যাবে ২১১৭ সালে। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহ থাক বা না থাক, জীবদ্দশায় মহাজাগতিক ইতিহাস প্রত্যক্ষ করার সুযোগ নিতে কসুর করেনি হুজুগপ্রিয় বাঙালি। জৈষ্ঠ্যের প্রবল দাবদাহও শুক্র-সরণ দর্শনের পথে অন্তরায় তৈরি করতে পারেনি।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এদিন টেলিস্কোপের সাহায্যে সূর্যকে শুক্রের অতিক্রমণ দেখবার সুযোগ করে দেয়। এর বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বই প্রকাশ করা হয় । সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বিলি করা হয় রোদচশমা। কোনও কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পগুলিতে কুসংস্কার বিরোধী প্রচারও চালানো হয়। কলকাতার পাশাপশি এদিন আমদাবাদ, দিল্লি, পাটনা, গুয়াহাটি লখনউ-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষের মধ্যে শুক্রের সূর্য সফর নিয়ে উত্‍সাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

.