তেলেঙ্গানায় `পৌষ পার্বণ`, উপকূল অন্ধ্রে `সর্বনাশের`সানাই

অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনকে ঘিরে দুই বিপরীত ছবি ধরা পড়েছে রাজ্যের দুই প্রান্তে। তেলেঙ্গানায় উত্সবের মেজাজ। অন্যদিকে, উপকূলীয় অন্ধ্র ও রায়লসীমায় পুঞ্জিভূত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। রাজনৈতিক স্তরে কাটাছেঁড়া চলছে বিভাজন পরবর্তী বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে।

Updated By: Aug 1, 2013, 09:35 AM IST

অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনকে ঘিরে দুই বিপরীত ছবি ধরা পড়েছে রাজ্যের দুই প্রান্তে। তেলেঙ্গানায় উত্সবের মেজাজ। অন্যদিকে, উপকূলীয় অন্ধ্র ও রায়লসীমায় পুঞ্জিভূত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। রাজনৈতিক স্তরে কাটাছেঁড়া চলছে বিভাজন পরবর্তী বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে।
মঙ্গলবার রাত থেকে তেলেঙ্গানা অঞ্চলে শুরু হয়েছে উত্সব। দেশের ২৯তম রাজ্য গঠনের ঘোষণার আনন্দে মেতেছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সমর্থকরা। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনই সেই আনন্দে গা ভাসাতে নারাজ।
বিভাজনকে ঘিরে কার্যত দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে হায়দরাবাদকে নিয়ে। দশবছর পর সীমান্ধ্রা প্রদেশের রাজধানী কোথায় কীভাবে গড়ে তোলা হবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
বিভাজনের বিরোধিতা করছে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি।
অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনের বিরোধী মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল-মুসলিমিনও।
বিভাজনের পরেও, হায়দরাবাদকে ঘিরে আগামী একদশক অশান্তি চলবে বলেই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
 
এদিকে, তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে টালমাটাল অন্ধ্রপ্রদেশ। এই পরিস্থিতিতে আজ রায়লসীমা ও উপকূলীয় অন্ধ্র থেকে আসা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি। আজ সন্ধে সাতটায় বৈঠকটি হওয়ার কথা। রাজ্যভাগের বিরোধিতায় উপকূলীয় অন্ধ্র ও রায়লসীমার মন্ত্রীরা ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিরণকুমার রেড্ডি নিজেও রায়লসীমার কংগ্রেস বিধায়ক।
রাজ্যভাগের সিদ্ধান্ত তাঁর কাছেও বেদনাদায়ক বলে জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও রাজ্যভাগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দায়িত্ব তিনি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন কিরণ রেড্ডি। তবে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তেলেঙ্গানা প্রসঙ্গ না ওঠার সম্ভাবনাই বেশি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার যে বৈঠক আজ হওয়ার কথা তার আলোচ্যের তালিকায় তেলেঙ্গানা নেই বলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।  

.