র্যাগিং রুখতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল ইউজিসি
র্যাগিংয়ের মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের।
নিজস্ব প্রতিনিধি: র্যাগিংয়ের মোকাবিলায় দেশের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দেশিকা পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। তাদের গঠিত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং রুখতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল ইউজিসি। সেই কমিটি সম্প্রতি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-
- শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই পড়ুয়াদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম করাতে হবে। সেখানে তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে, র্যাগিং বা যৌন হয়রানি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বর্ণ, জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনওরকম হয়রানি অভিযোগ উঠলে, 'জিরো টলারেন্স' নীতি মেনে চলবে কর্তৃপক্ষ।
- সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। পাশাপাশি ওয়ার্ডেন বা শিক্ষকদেরও এবিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। পড়ুয়াদের মধ্যে একাত্মতার বোধ আনার জন্য খেলাধুলা ও অন্যান্য গঠনমূলক কাজে উত্সাহ দিতে হবে।
- কীভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানাতে হবে? কোথায় জানাতে হবে? সে ব্যাপারে পড়ুয়াদের অবহিত করবে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত আইনের বিষয়েও তাঁকে জানাতে হবে।
- র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ও আক্রান্তদের মনস্তাত্বিক সহযোগিতা ও কাউন্সেলিংয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। পড়ুয়াদের সঙ্গে একাত্ম হতে নাটক, সিনেমার মতো মাধ্যমকে ব্যবহার করতে পারেন মনোবিদরা।
- শুধু পড়ুয়াদের অবহিত করাই নয়, বরং প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাম্যর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিভিন্নতাকে তুলে ধরতে হবে। এনিয়ে পড়ুয়া ও কর্মীদের মধ্যে নিয়মিত সমীক্ষা চালাতে হবে।
- প্রতিষ্ঠানে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সম্মানজ্ঞাপন, অহিংসার পথে মীমাংসার মতো বিষয়গুলি শিখতে পারে পড়ুয়ারা। সামাজিক বিষয় ও মূল্যবোধের উপরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে তা করা যেতে পারে।
র্যাগিং মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করছে সরকার। আগের চেয়ে উন্নতি হলেও, র্যাগিংমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।
আরও পড়ুন, র্যাগিং-এ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআরআই করল না এসআরএফটিআই