মালিয়াকে ভারতে ফেরাতে সম্মতি দিল ব্রিটেন সরকার
ভারতের তরফে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মালিয়াকে প্রত্যর্পণের জন্য আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলেও ভারত সরকারের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন বছরের প্রচেষ্টার ফল হয়তো খুব তাড়াতাড়ি পেতে চলেছে ভারত সরকার। পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়াকে ভারত সরকারের হাতে পাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।
United Kingdom Home Office: The Home Secretary has formally signed the extradition order for Vijay Mallya. Mallya can formally begin his appeal process. pic.twitter.com/trA3uHbFvK
— ANI (@ANI) February 4, 2019
২০১৬ সালে পলাতক এই ব্যবসায়ীকে ভারতের ফেরানোর নির্দেশ আগেই দিয়েছিল ব্রিটেনের আদালত। সোমবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব সাজিদ জাভিদ মালিয়াকে প্রত্যর্পণের প্রয়োজনীয় নথিতে স্বাক্ষর করে সেই প্রক্রিয়াকে আরও একধাপ এগিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমার মমতার ‘সিক্রেট কিপার’, বললেন আইনমন্ত্রী
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র সোমবার একথা জানান। তাঁর কথায়, "ভারতে বিজয় মালিয়া আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। সবদিক খতিয়ে দেখে তাই তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করে দেওয়া হয়েছে।"
Vijay Mallya has 14 days from today to apply for leave to appeal https://t.co/hsNsD8ZAip
— ANI (@ANI) February 4, 2019
ভারতের তরফে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মালিয়াকে প্রত্যর্পণের জন্য আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলেও ভারত সরকারের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজীব কাণ্ডে শুনানি আগামিকাল, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠন হল ৩ সদস্যের বেঞ্চ
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের আদালত বিজয় মালিয়াকে প্রত্যর্পণের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮। সেই নির্দেশে বলা ছিল, দু'মাসের মধ্যে ব্রিটেন সরকারকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সময় ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই ব্রিটেন সরকার মালিয়ার প্রত্যর্পণে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল।
Govt Sources: We have taken note of the decision of the UK Home Secretary to sign on the order for Vijay Mallya's extradition to India. While we welcome the UK Government's decision in the matter, we await the early completion of the legal process for his extradition. https://t.co/hsNsD8ZAip
— ANI (@ANI) February 4, 2019
তবে মালিয়ার হাতে সময় রয়েছে। তিনি এখনও ১৪ দিন সময় পাচ্ছেন এই সিদ্ধান্ত আটকানোর আবেদন করার জন্য। ফলে মালিয়ার ফেরানোর প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে, নাকি এই প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির একমাত্র বুকের পাটা রয়েছে নিতিন গডকড়ির’ বললেন রাহুল
বিজয় মালিয়া জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আবেদন করবেন। একটি ট্যুইটে তিনি জানিয়েছেন, আদালতের রায়ের পর তিনি সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার তিনি আবেদন করছেন।
After the decision was handed down on December 10,2018 by the Westminster Magistrates Court, I stated my intention to appeal. I could not initiate the appeal process before a decision by the Home Secretary. Now I will initiate the appeal process.
— Vijay Mallya (@TheVijayMallya) February 4, 2019
মালিয়াকে ফেরানোর উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে ভারতে। কারণ, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মালিয়াকে দেশে ফিরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে শুনানি শুরু করতে পারলে রাজনৈতিক লাভ হবে বিজেপির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা কাউকে রেয়াত করে না। এই প্রচার ভোটের ময়দানে করতে পারবে মোদী-অমিতের দল।
আরও পড়ুন: ‘জঙ্গলমহলে প্রার্থী হবেন?’ কী বললেন ভারতী ঘোষ?
সোমবার থেকেই অবশ্য সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্যুইট করেছেন মোদী সরকারের মন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি লিখেছেন, ''মালিয়াকে প্রত্যর্পণে আরও এক পা এগোল মোদী সরকার। আর তখন বিরোধীরা সারদায় দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাতে ধরনা দিচ্ছে।''
Modi Government clears one more step to get Mallya extradited while Opposition rallies around the Saradha Scamsters.
— Arun Jaitley (@arunjaitley) February 4, 2019
তাছাড়া আরও এক পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে ফেরানোর জন্য ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মালিয়াকে ফেরাতে পারলে সেই প্রক্রিয়া আরও তরান্বিত হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে, ফিরিয়ে দেব পদ্মভূষণ সম্মান’
যদিও মালিয়াকে মুম্বইয়ের আদালত প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) অনুযায়ী পলাতক ঘোষণা করে। জানুয়ারির ৫ তারিখ ওই ঘোষণা হয়েছিল। মালিয়াই প্রথম ব্যক্তি যাঁকে এই মামলায় পলাতক ঘোষণা করা হল। ওই মামলার শুনানি আজ।