আধারের পর নয়া গেরো, এক পরিবারের একটাই আইডি! আসছে...
'জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যেক পরিবারকে ফ্যামিলি আইডি নামে একটি ইউনিক আলফা কোড সরবরাহ করা হবে। যার মাধ্যমে তৈরি হবে একটি ডেটাবেস। ফ্যামিলি আইডি ডেটাবেসের ডেটা একবার যাচাই করা থাকলে, কোনও সুবিধাভোগীকে কোনও পরিষেবা পাওয়ার জন্য আর কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পেতে প্রতি পরিবারকে একটাই আইডি! এমনটাই এবার শোনা যাচ্ছে। আর এর শুরুয়াৎ হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীরের হাত ধরে। সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পেতে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হতে পারে একটাই ইউনিক আইডি। যে ইউনিক আইডি তৈরি হব ১০টি ডিজিট বা নাম্বার নিয়ে। যার উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সহজে নির্বাচন করে একটি ডেটাবেস তৈরি করা।
'ফ্যামিলি আইডি' নামক এই প্রস্তাবিত পদক্ষেপকে বিজেপি স্বাগত জানিয়েছে। তবে অন্যান্য দলগুলি ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রিয়াসি জেলার কাটরায় ই-গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার একটি ডিজিটাল জে অ্যান্ড কে ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছেন। সেই ভিশন ডকুমেন্ট অনুসারে, 'জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যেক পরিবারকে ফ্যামিলি আইডি নামে একটি ইউনিক আলফা কোড সরবরাহ করা হবে। যার মাধ্যমে তৈরি হবে একটি ডেটাবেস। আর সেই ডেটাবেসটি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি পরিবারকে শনাক্ত করবে। প্রত্যেক পরিবারের মৌলিক তথ্য সংগ্রহ করবে।'
কিন্তু এই ডেটাবেস তৈরির উদ্দেশ্য কী?
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কমিশনার সেক্রেটারি প্রেরণা পুরী জানিয়েছেন, এই ডেটাবেস তৈরির উদ্দেশ্য হল, এটা হরিয়ানার 'পরিবার পেহচান পত্র'-এর সাথে সমতুল্য হবে। ফলে কোনও পরিবার বা সেই পরিবারের সদস্যদের প্রতিটি পৃথক প্রকল্পের অধীনে সুবিধা পাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের ফ্যামিলি আইডি ডেটাবেসের ডেটা একবার যাচাই করা থাকলে, কোনও সুবিধাভোগীকে কোনও পরিষেবা পাওয়ার জন্য আর কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। যদিও কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি প্রস্তাবিত পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র এবং প্রাক্তন বিধায়ক রবিন্দর শর্মা এর পিছনে সরকারের উদ্দেশ্য এবং সাইবার আক্রমণ থেকে এই জাতীয় ডিজিটাল ডেটাবেসগুলিকে রক্ষা করার ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন, রাত ১১টার পরেও রাস্তায় কেন? 'অপরাধে' কড়া পুলিসি শাস্তির মুখে দম্পতি!
বউ কোনও পণ্য নয়! পণের ১১ লাখ ফিরিয়ে 'সগুনে' মাত্র ১ টাকা নিলেন সরকারি চাকুরে পাত্র