‘রোজ রাতে গাড়ি এসে মেয়েদের নিয়ে যেত’, চাঞ্চল্যকর বয়ান উত্তরপ্রদেশের হোমের নাবালিকার
হোমের কুকীর্তি সামনে এনে দেয় ১০ বছরের এক নাবালিকা
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারের মুজাফফরপুরের হোমে ধর্ষণের ঘটনা পর এ বার উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের দেওরিয়ার একটি হোমে সেক্স র্যাকেট চালানোর অভিযোগ উঠল। ওই হোমটি চালাতেন এক দম্পতি। গিরিজা ত্রিপাঠি ও তাঁর স্বামী মোহন ত্রিপাঠিকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জেলার ডিএমকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ওই হোমে তল্লাশি চালায় পুলিস। তখনই দেখা যায় হোমে বসবাসকারী ৪২ জন মহিলার মধ্যে ১৮ জন নিখোঁজ। তার পরে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। তিন বছর আগে ওই হোমটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছে।
কীভাবে সামনে এল ওই হোমের আবাসিকদের দিয়ে চালানো সেক্স র্যাকেট? হোমের কুকীর্তি সামনে এনে দেয় ১০ বছরের এক নাবালিকা। রবিবার সে হোমের পাঁচিল টপকে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। তারপর চলে যায় সোজা পুলিসের কাছে। বিহারের বেতিয়ারের বাসিন্দা ওই মেয়েটির কথা শুনে থ বনে যায় পুলিস।
আরও পড়ুন-২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভেসে গেল ২টি পাকা বাড়ি!
মেয়েটি পুলিসকে জানিয়েছে, রোজ সন্ধ্যায় কিছু লোক গাড়ি নিয়ে হোমে আসতো। গিরিজা ও মোহনের সঙ্গে কথা বলে ৪-৫ জন মেয়েকে বাইরে নিয়ে চলে যেত তারা। আবার গভীর রাতে তাদের হোমে ফেরত্ দিয়ে যেত। মেয়েটি আরও জানিয়েছে, হোমে আবাসিক মেয়েদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করা হতো। তাদের দিয়ে ঘর মোছানো, বাসন মাজা সব করানো হতো।
ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে দেওরিয়ার পুলিস সুপার রোহন পি কান্যয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘তদন্তে দেখা গিয়েছে হোমের মেয়েদের দিয়ে কিছু অনৈতিক কাজ করানো হতো। হোমে তল্লাশির সময়ে ৪২ জন আবাসিকের মধ্যে ১৮ জনের পাওয়া যায়নি। ওইসব মেয়েরা কোথায় তার কোনও ব্যাখ্যাও দিতে পারেনি গিরিজা ও তার স্বামী।’ তবে কী ধরনের অনৈতিক কাজ করানো হতো তা স্পষ্ট করেননি রোহন।
আরও পড়ুন- ফুলশয্যার রাতেই দরজায় কড়া নাড়ল পুলিস
রাজ্যের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, নির্যাতিতা মেয়েদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আইন আইনের পথেই চলবে।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে ওই হোমের লাইসেন্স বাতিল কের দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। হোমটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।