সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেও, পাকিস্তান সম্পর্কে ‘নরম’ সুর ডোনাল্ড ট্রাম্পের

আইসিস উত্খাতের জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীকে পুরো ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিল হোয়াইট হাউজ। তার সুফলও মিলেছে বলে জানান তিনি। মধ্য এশিয়া আইসিসের ঘাঁটিগুলি ধূলিসাত্ করে দেওয়া হয়েছে

Updated By: Feb 24, 2020, 03:54 PM IST
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেও, পাকিস্তান সম্পর্কে ‘নরম’ সুর ডোনাল্ড ট্রাম্পের
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন:  পাকিস্তান নিয়ে কি নরম সুর মার্কিন প্রেসিডেন্টের! আমেদাবাদে মোতেরা স্টেডিয়ামে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কড়া বার্তা তো দিলেন। তবে, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান সম্পর্কে ‘নরম’ সুরও শোনা গেল। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ উত্খাত করতে ভারত এবং আমেরিকা বদ্ধপরিকর। তার জন্য এক সঙ্গে কাজও করছে দুই দেশ।

ট্রাম্পের কথায়, হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব পেয়েই সন্ত্রাসবাদ ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা চালিয়েছি। পাক সীমান্তে জঙ্গি সংগঠনগুলির কার্যকলাপ বন্ধ করতে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালানো হয়। সন্ত্রাস মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান সক্ষম হয়েছে বলেও জানান তিনি। সর্বোপরি পাকিস্তানের সঙ্গে হোয়াইট হাউজের ভাল সম্পর্ক বলে এ দিন উল্লেখ করেন ট্রাম্প। দক্ষিণ-এশিয়া দেশগুলিতে স্থায়িত্ব, শান্তি এবং একতা ফিরে আসার বার্তা দেন তিনি।

আরও পড়ুন- 'সোয়ামি ভিভেকামননন্ড...' মোতেরায় বাণী উদ্ধৃত করতে গিয়ে ঠোক্কর খেলেন ট্রাম্প

আইসিস উত্খাতের জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীকে পুরো ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিল হোয়াইট হাউজ। তার সুফলও মিলেছে বলে জানান তিনি। মধ্য এশিয়া আইসিসের ঘাঁটিগুলি ধূলিসাত্ করে দেওয়া হয়েছে। ‘দানব’ আল বাগদাদিকে নিকেশ করেছে আমেরিকা। সন্ত্রাস মোকাবিলায় এই পদক্ষেপগুলিকে দৃষ্টান্ত বলে জানান ট্রাম্প। পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাস বিষয়ে আলোচনায় নিজের প্রশংসা করতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

আরও পড়ুন- ট্রাম্পের মুখে বলিউডের প্রশংসা, উঠে এল শাহরুখ-কাজলের ডিডিএলজে-র নামও

পুলওয়ামা ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কার্যত তলানিতে ঠেকে। নয়া দিল্লির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্ত্রাসবাদ দমন না হওয়া পর্যন্ত কোনও আলোচনা নয় ইসলামাবাদের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক স্তরেও পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে ভারত। সামরিক অনুদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। তবে, পরবর্তীকালে বরফ গলাতে আমেরিকায় ছুটে গিয়েছেন ইমরান খান। নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া ছিলেন ইমরান। তিনি যে কিছুটা সফল হয়েছেন এ দিনে ট্রাম্পের বক্তৃতায় তার প্রমাণ মিলল।  

.