৪৮ ঘণ্টায় বর্ষা বাড়বে উত্তরাখণ্ডে, উদ্ধারে জোর বাড়াল সেনা

উত্তরাখণ্ডের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ছশো। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ উত্তরাখণ্ড যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে। হরিদ্বারের গঙ্গা থেকে গতকাল উদ্ধার হয়েছে আরও চল্লিশটি দেহ।আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হওয়ায় উত্তরাখণ্ডে বন্যা পরবর্তী উদ্ধারকার্যে অল্প হলেও গতি এসেছে।

Updated By: Jun 22, 2013, 11:10 AM IST

অশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ তাই হল। ফের একবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বন্যা বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডে। সোমবারের মধ্যে আরও বর্ষণের পূর্বাভাষ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই শবিবার থেকেই উদ্ধারকার্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
পাহাড়ের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারকার্যে জোর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেট সেক্রেটারি অজিত শেঠ মারফত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের অবস্থা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিন রাজ্যের অবস্থা নিয়ে দুবেলা খবর রাখছেন মনমোহন সিং নিজে। কথা বলছেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে।
কেন্দ্র সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেনা ও বায়ুসেনার সাহায্যে বিপর্যস্ত এলাকা থেকে ৬৬ হাজারা মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উত্ত্রাখণ্ডে উদ্ধারকার্যে মোতায়েন রয়েছে ৫৬টি হেলিকপ্টার। আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের পাশাপাশি আর্ত মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে ওই বিমান গুলি। কাজ করছে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার বিমানও।
উত্তরাখণ্ডের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ উত্তরাখণ্ড যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে। হরিদ্বারের গঙ্গা থেকে গতকাল উদ্ধার হয়েছিল আরও ৪০টি দেহ। আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হওয়ায় উত্তরাখণ্ডে বন্যা পরবর্তী উদ্ধারকার্যে অল্প হলেও গতি এসেছে। শুক্রবার গৌরীকুণ্ডকে কেন্দ্র করেই মূলত উদ্ধারকার্য চালায় ভারতীয় সেনা, বায়ু সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আইটিবিপি-র জওয়ানরা। উদ্ধারকার্যে সেনা ও বায়ু সেনার ৪৫টি চপারকে কাজে লাগানো হয়েছে।

.