100 Days Work: দিল্লিতে 'বকেয়া' বৈঠক; 'মনে হচ্ছে মেঘ কেটে গিয়েছে', বললেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী
একশোর দিনে বকেয়া টাকা কবে মিলবে? দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
জ্যোর্তিময় কর্মকার: একশোর দিনে বকেয়া টাকা কবে মিলবে? দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বললেন, 'মনে হচ্ছে মেঘ কেটে গিয়েছে, সমস্যা মিটে যাবে। দ্রুত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গিরিরাজ সিং'। এদিকে বৈঠক শেষ হতেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
'কেন্দ্রের অনেক বিরোধিতা আছে। টাকাই দেয় না! শুনলাম, ১০০ দিনের টাকা ডিসেম্বর থেকে দেয়নি। যেন মনে হয় নিজের টাকা দিচ্ছে! টাকা তো এখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। যে টাকা তুলে নিয়ে যায়, তার কিছুটা অংশ রাজ্য়কে দেয়'। কয়েক মাস আগে কলকাতায় WBCS-দের বার্ষিক সভায় কেন্দ্রের 'বিমাতৃসুলভ আচরণ' নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত, ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠিও দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূল সাংসদরাও।
এদিন দিল্লিতে কৃষিভবনে দু'দফায় বৈঠক হল। প্রথমে সচিব পর্যায়ে, তারপর কেন্দ্রীয় গ্রামোয়ন্ননমন্ত্রী গিরিরাজ সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বললেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। কী আলোচনা হল? সূত্রের খবর, রাজ্যে বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগেই একশোর দিনের কাজ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বৈঠকে কেন্দ্রীয় গ্রামোয়ন্ননমন্ত্রীকে, পঞ্চায়েত মন্ত্রী বোঝান, কেন্দ্রের প্রতিটি অভিযোগে ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। এমনকী, রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে।
এর আগে, পুজোর মধ্যেই নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোয়ন্নন দফতরের সচিব। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, 'রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকার অনুদানে যে প্রকল্পগুলির চলছে, সেই প্রকল্পগুলির নাম পরিবরর্তন করতে হবে। কেন্দ্রের নামই ব্যবহার করতে হবে। কেন্দ্রের নাম ব্যবহার না করলে টাকা দেওয়া যাবে না'। ১০০ দিনে কাজ প্রকল্পের তো নাম বদল করা হয়নি। তাহলে টাকা দেওয়া হচ্ছে না কেন? চিঠিতে উল্লেখ, '১০০ দিনে প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিধিদের সুপারিশগুলি কার্যকর করতে হবে'।