কাশ্মীর এখন খোলা জেলখানা, কটাক্ষ সিপিএম নেতার, অর্থনীতি বিপর্যস্ত, বললেন ইয়েচুরি
গতবছর অগস্টে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদেশি প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উপত্যকার সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কথায়,''সরকার দাবি করছে কাশ্মীর স্বাভাবিক। অথচ কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের অচলাবস্থায় ধ্বংস হয়েছে ওখানকার অর্থনীতি।''
এদিন ইউসুফ তারিগামি বলেন, ''বিদেশি প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে নিয়ে গিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে সরকার ঠিক কী দেখাতে চাইছে? কেন তারা বিরোধী নেতাদের ঢুকতে দিচ্ছে না।'' তাঁর কটাক্ষ, কাশ্মীরকে খোলা জেল ঘোষণা করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এটাই কাশ্মীরের বাস্তব অবস্থা। ঘর, হোটেল ও অতিথিশালাগুলি পরিণত হয়েছে জেলে।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন,''অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পর কেটে গিয়েছে ৬ মাস। ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন। পশুপাল ও কৃষি বিপর্যস্ত। অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। ভোগান্তি হচ্ছে সেখানকার মানুষের।'' ইয়েচুরি আরও বলেন, রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে বলে দাবি করছে। কিন্তু সেখানকার নেতাদের জেলে পুরে রেখেছে ওরা। সুপ্রিম কোর্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মামলা চলছে। তার আগে সেখানকার জমি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত যেন না নেয় সরকার।
বলে রাখি, গত ৯ জানুয়ারি কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া, মরক্কো, নাইজার, নাইজেরিয়া, গয়ানা, আর্জেন্টিনা, নরওয়ে, ফিলিপিন্স, মালদ্বীপ, টোগো, ফিজি, পেরু, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
গতবছর অগস্টে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীরকে ভাঙা হয় দুটি রাজ্যে। একটা জম্মু-কাশ্মীর, অন্যটা লাদাখা। তার আগে থেকে জম্মু-কাশ্মীরে জারি হয়েছিল কার্ফু। এরপর ধীরে ধীরে উঠে গিয়েছে ১৪৪ ধারা।
আরও পড়ুন- মনে পড়ে মমতা, ২০০৯ সালে মেট্রো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবকে ডাকেননি: মুকুল