Delhi: ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলেন সাত মাস অচেতন মা!
দিনের পর দিন কোমায় পড়েছিল মহিলার নিথর দেহ। তবে এই অবস্থাতেই এক ফুটফুটে শিশুর জন্ম দিলেন সেই মহিলা। অবাক হলেও এমনিই এক ঘটনার সাক্ষী হল দিল্লির AIIMS হাসপাতাল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: সাত মাস সাড় ছিল না দেহ। বহু চেষ্টার পরেও কিছুই করতে পারেন নি চিকিত্সরা। দিনের পর দিন কোমায় পড়েছিল মহিলার নিথর দেহ। তবে এই অবস্থাতেই এক ফুটফুটে শিশুর জন্ম দিলেন সেই মহিলা। অবাক হলেও এমনিই এক ঘটনার সাক্ষী হল দিল্লির AIIMS হাসপাতাল। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও এখনও জ্ঞান ফেরেনি মায়ের। কোমাতেই রয়েছেন তিনি। ডাক্তার দীপক গুপ্তের কথায়, মায়ের চেতনা ফিরে আসার সম্ভাবনা ১০-১৫ শতাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে ২২ অক্টোবর অর্থাত্ শনিবার। জানা গিয়েছে, এক দুর্ঘটনার জেরেই গুরুতরভাবে মাথায় আঘাত পান ওই মহিলা। প্রথম কিছুদিন বুলন্দসারের এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সারত ছিলেন তিনি। তারপরই সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির এইমসে। দুর্ঘটনার সময় ৪০ দিনের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ২৩ বছর বয়সী শাফিয়া।
আরও পড়ুন- Lord Shiva Statue: ৩০,০০০ টন ওজন, ৩৬৯ ফুট উচ্চতা; শনিবার উদ্বোধন সর্বোচ্চ শিব মূর্তির
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চার মাসের মধ্যেই ৪ টি নিউরোসার্জিক্যাল অপারেশন হয় তাঁর। তাতেও কোনও সাড়া দেননি তাঁর দেহ। এরপর গর্ভবতী অবস্থায় একটি আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানও করা হয়েছিল শাফিয়ার। সেই সময় জানা গিয়েছিল একেবারে সুস্থ রয়েছে গর্ভস্থ শিশুটি। যার কারণে চিকিত্সকরা যথেষ্ট সংশয় ছিলেন যে তাঁরা মহিলার গর্ভধারণ প্রকিৃয়া বন্ধ করে দেবেন নাকি তা চালিয়ে যাবেন। তবে ভ্রুনের মধ্যে কোনও জন্মগত অসংগতি নজরে না পড়ায় তাঁরা পরিবারকে বাচ্চাটির পরামর্শ দেন মেডিকেল টিম। এমন অবস্থায় পরিবারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। এবং পরিবারের তরফ থেকেও এই গর্ভাবস্থা চালিয়ে যাওয়ারই নির্দেশ দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন- Kangana Ranaut: বিজেপিতে কঙ্গনাকে স্বাগত: বিজেপি
ডাক্তার গুপ্তার কথায়, ‘আমার ২২ বছরের নিউরোসার্জিক্যাল ক্যারিয়ারে আমি এমন ঘটনার মুখোমুখি আগে কখনও হয়নি।‘ এই ঘটনা প্রকাশ্য আসতেই অনেকেই বলছেন এটাই নাকি ‘মায়ের ভালোবাসা’। মা তাঁর শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও সুরক্ষিত করতে চায় তাঁর সন্তানের প্রাণ। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার নানান ঘটনার কথা এর আগেও আমাদের নজরে এসেছে। তবে এমন বিরল ঘটনা এই প্রথম। এই ঘটনার কোনোরকম বৈজ্ঞানিক ব্যাখা এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি কেউই।