‘যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন!’ মঞ্চ মাতালেন দিনরাত স্টেথো-ছুরি-কাঁচি ধরা মানুষগুলো...

বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের উদ্যোগে, ধনধান্য অডিটোরিয়ামে ২ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠান উন্নীত হল যার নাম রাখা হয়েছে ‘উদযাপন’। 

| Dec 05, 2023, 18:05 PM IST
1/6

নিছক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়। বরং প্রাণের আরাম। সারা বছরের সেবার ব্রতের মধ্যে যেন এক ঝলক টাটকা অক্সিজেন। মরুভূমিতে এক টুকরো মরুদ্যানের মতোই তা অমূল্য। হ্যাঁ, বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের উদ্যোগে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে ২ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানও উন্নীত হল অন্য উচ্চতায়। 

2/6

হাসপাতাল মানেই সারাক্ষণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই। মৃত্যুর ঝুলন্ত খাঁড়া থেকে প্রাণ বাঁচানোই প্রতি মুহূর্তের টেনশন। অসুখ, সংক্রমণ, সঙ্কট— শব্দগুলো নিয়েই প্রতি মুহূর্তের সংসার। সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস। এভাবেই লড়তে থাকেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সূর্য ওঠে, অস্ত যায়। সেবার মন্ত্র সঙ্গে নিয়ে ডাক্তার, নার্সরা পাশে দাঁড়ান রোগীদের। তাঁদের সুস্থ করে বাড়ি ফেরানোই হয়ে ওঠে ধ্যানজ্ঞান।

3/6

আর সেজন্যই বছরের একটা দিন একটু অন্যভাবে কাটাতে চাওয়া। ভিতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা যাতে মেলে ধরতে পারেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেটাই হয়ে ওঠে উদযাপন। তা ওড়ায় সব প্রতিকূলতা। বাধা-বিঘ্ন টপকে তুলে ধরে জীবনের পতাকা।

4/6

এদিনও ঠিক তাই হল। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি  সঙ্গীত পরিবেশন করলেন মেখলা দাশগুপ্ত ও রূপঙ্কর বাগচী। শুরুতে নৃত্য পরিবেশনে থাকলেন সৌমিলী ও ট্রুপ। মন ছুঁয়ে যাওয়া এই অনুষ্ঠান ঘিরে আবেগে ভাসল অডিটোরিয়াম।

5/6

প্রসঙ্গত, বি.পি. পোদ্দার এখন শহরের হাসপাতালদের মধ্যে অগ্রগণ্য। এই হাসপাতালের ৪ ইঞ্চি কেটে হার্ট বাইপাস হয়ে উঠেছে মুশকিল আসান। হাঁটুর চিকিৎসাতেও নিউআলিপুরের এই হাসপাতাল হয়ে উঠেছে পথিকৃৎ। গ্যাস্ট্রো, অঙ্কোলজিতে এখানের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সাড়া ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রতিদিন তাই দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসেন রোগী। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরেন নিশ্চিন্ত মনে। এমনকী, বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই হাসপাতালের নাম। সীমান্তের ওপার থেকেও অনেকে পরম বিশ্বাসে আসছেন এখানে।

6/6

এই অনুষ্ঠান সেই বিশ্বাসকেই উদযাপনের মুহূর্ত হয়ে উঠল। বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের পক্ষে নম্রতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীরা সারা বছরই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে কাজ করেন। এই অনুষ্ঠান সেই চাপ থেকে রেহাই দেয় তাঁদের। নিজেদের মেলে ধরার সুযোগও আনে। কর্মীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তাই মুক্তির হাওয়ার মতোই। এর নেপথ্যে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম। উল্লেখ করতে হবে আন্তরিকতার কথাও। ডাক্তারদের ধন্যবাদ প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সমস্ত শিল্পীকেও ধন্যবাদ। আর দর্শকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁদের উৎসাহ ছাড়া এই অনুষ্ঠান সম্ভবই হতো না।’